ইসলামে কাম ও কামকলা ৩১

পঞ্চম খন্ড
যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সেক্সঃ
যুদ্ধে অধিকৃত নারী/ যৌনদাসীর সাথে সেক্স:-

ইসলাম যুদ্ধে অধিকৃত নারীদের সাথে অবাধ সেক্স করার অনুমতি দেয়। এই নিয়ম ইসলামের সোনালি যুগে প্রচলিত ছিল (এবং অন্ততঃ তাত্ত্বিকভাবে সে আইন এখনও বহাল আছে)। স্বয়ং রাসুলে করিম এই নিয়ম পালন করেছেন। কোরাণের যে সমস্ত আয়াতে এই ধরণের সেক্স করার অনুমতি দেয়া হয়েছে, তার গোটাকয়েক নিচে উদ্ধৃত করা হলো।
০০৪.০২৪ (সুরা নিসা):
এবং তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছে নারীদের মধ্যে সধবাগণকে (অন্যের বিবাহিত স্ত্রীগণকেও); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন, এতদ্ব্যতীত তোমাদের জন্যে বৈধ করা হয়েছে যে, তোমরা স্বীয় ধনসম্পদের দ্বারা বিবাহবদ্ধ করার জন্যে তাদেরকে অনুসন্ধান কর ব্যভিচারের জন্যে নয়, অনন্তর তাদের জন্যে যে ফলভোগ করেছ তজ্জন্য তাদেরকে তাদের নির্ধারিত পাওনা প্রদান কর এবং কোন অপরাধ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পর সম্মত হও, নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী বিজ্ঞানময়।
০২৩.০০১-০০৫ (সুরা মুমেনুন):
০১- অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ।
০২- যারা বিনয়নম্র নিজেদের নামাজে।
০৩- যারা অসার ক্রিয়াকলাপ হতে বিরত থাকে।
০৪- যারা যাকাত দানে সক্রিয়।
০৫- যারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে।
০৬- নিজের স্ত্রীগণ ও অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত, এতে তারা নিন্দনীয় হবে না।

০৭০.০২৫-০৩৫ (সুরা মা’আরিজ):
০২৫- প্রার্থী ও বঞ্চিতের,
০২৬- এবং (যারা) কর্মফল দিবসকে সত্য বলে জানে,
০২৭- আর যারা তাদের প্রতিপালকের শাস্তি সম্পর্কে ভীত সন্ত্রস্ত
০২৮- নিশ্চয়ই তাদের প্রতিপালকের শাস্তি হতে নিঃশঙ্ক থাকা যায় না-
০২৯- এবং যারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে,
০৩০- তাদের পত্নীগণ এবং অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত, এতে তারা নিন্দনীয় হবে না-
০৩১- তবে কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা হবে সীমা লঙ্ঘনকারী,
০৩২- এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে,
০৩৩- আর যারা তাদের সাক্ষদানে অটল,
০৩৪- এবং নিজেদের নামাজে যত্নবান-
০৩৫- তারা সম্মানিত হবে জান্নাতে;

উপরোক্ত আয়াত অনুসারে একজন মুসলমান পুরুষ, সে বিবাহিত হোক আর অবিবাহিত হোক, ক্রীতদাসী কিংবা যুদ্ধে বন্দীকৃত নারীদের সাথে অবাধ যৌনসঙ্গম করতে পারে। আয়াতে বর্ণিত ‘তোমাদের দক্ষিনহস্ত যাদের অধিকারী’ (আরবী -‘মালাকুল ইয়ামিন’, ইংরেজী-‘your right hand possess’) --এই কথার অর্থ হচ্ছে অধিকারভুক্ত দাসী বা যুদ্ধবন্দিনী।

এটি একটি আরবী বাগধারা। এখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। পবিত্র কোরাণের অধিকাংশ বাংলা তরজমায় দেখা যায়- তরজমাকারীরা এভাবে তরজমা করেছেন--‘তোমাদের পত্নী এবং অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত’। তারা পত্নী বলে একবচনে অনুবাদ করেছেন, পত্নীগণ বলেননি। মুল আরবী আয়াতে আছে ‘আজওয়াজ’ শব্দটি- যা জাওজ শব্দের বহুবচন।

অসমাপ্ত

1/Post a Comment/Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post