ইসলামে কাম ও কামকলা- ২২

পেছন হতে/ পায়ুপথে সেক্স

আমি একথা গোপন করব না যে হাদিস পাঠ করা ছিল আমার সময় কাটানোর সবচেয়ে প্রিয় উপায়। হাদিস পড়তে আমি ভালবাসতাম, যেখানে যত হাদিস আছে। আমি যত বেশী হাদিস পড়তে থাকলাম, তত বেশী করে ইসলাম ও তার নবী মহম্মদকে (দঃ) বুঝতে পারলাম। আমি মনে করি হাদিসগুলিতে একজন ভাল ও খাটি মুসলমানের চিত্র সংরক্ষিত আছে।

শুরুতে ভেবেছিলাম- হাদিসে বোধ হয় শুধুমাত্র ধর্মীয় নিয়মকানুন, আধ্যাত্মিক নিয়মকানুন কিংবা ধর্মযুদ্ধ (জিহাদ) সংক্রান্ত বিষয়াদিই আছে। কিন্তু ইসলামের মূল লিপিগুলিতে যৌনকামনা উদ্রেককারী এতসব বর্ণনা পেয়ে আমি যেন বোবা হয়ে গেলাম। এরূপ মন্তব্য করা বোধ হয় অসমীচিন হবে না যে কোন কোন হাদিসকে যৌনাচারের সারগ্রন্থ (ম্যানুয়াল অব সেক্স) বলে অভিহিত করা যায়। সেক্স করতে গেলে কী কী করতে হবে এবং কী কী করা যাবে না- তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ রয়েছে সেখানে। কোন কোন হাদিস এমনকি বিশ্বের প্রাচীনতম পর্ণোগ্রন্থ কামসুত্রকেও লজ্জা দিতে পারে। এগুলিকে “সহি পর্ণোগ্রাফি- লা বেদুঈন ষ্টাইল” কিংবা লা ইসলামিক ষ্টাইল বলে অভিহিত করলে অন্যায় হবে না। এখানে আমি মাত্র গোটাকয়েক নমুনা পেশ করছি। পাঠক পাঠিকাদেরকে অনুরোধ করব- দয়া করে সিহা সিত্তা গ্রন্থ ছয়টি ভালভাবে পাঠ করুন। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ঠকবেন না। এত নুতন নুতন জিনিস আবিস্কার করতে পারবেন যে আপনাদেরকে মোটেই আফশোস করতে হবে না।

সে যুগের আরব বেদুঈনরা কী ধরণের সেক্সুয়াল প্র্যাক্টিস অনুসরণ করতো, হাদিসগুলিতে তার বিশ্বস্ত বর্ণনা রয়েছে। আমরা দেখতে পাই যে বিভিন্ন গোত্রগুলি সহবাসের সময় যে পদ্ধতি বা ষ্টাইল অনুসরণ করতো, তার মধ্যে বিস্তর ফারাক ছিল।

একজন ইহুদি তার স্ত্রীর সাথে যে ষ্টাইলে সেক্স করতো, তা তার বেদুঈন প্রতিবেশীর চেয়ে ভিন্নতর ছিল। শহরে এবং মরুভুমিতে প্রচলিত পদ্ধতিগুলিও ছিল ভিন্ন ভিন্ন। আমরা আরও দেখতে পাই যে সেক্সের ব্যপারে মরুচারি বেদুঈনরা বেশ এগিয়ে ছিল। সেক্সের আসন, সেক্সের ষ্টাইল ইত্যাদি কেলিগুলিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল তারা। আনসার এবং মোহাজেরদের মধ্যেও এই ষ্টাইলের বিস্তর পার্থক্য ছিল। ইহুদিরা সাধারণত শাস্ত্রীয় আসন অনুসরণ করতো। পক্ষান্তরে মক্কা হতে আগত মোহাজেররা স্ত্রীদের সাথে বিভিন্ন আসনে সেক্স করতে অভ্যস্ত ছিল। এইসব আসনের মধ্যে তাদের সবচেয়ে প্রিয় ছিল পেছন দিক হতে সঙ্গম করা।
আনসার কিংবা ইহুদি রমনীরা এই ষ্টাইলে অভ্যস্ত ছিল না। মোহাজেরগণ এই ষ্টাইল আনসার রমনীদের উপর প্রয়োগ করতে শুরু করলে রমনীরা অসন্তুষ্টি ও বিরক্তি প্রকাশ করে। কারণ কোন কোন মোহাজের ষন্ড এই সুযোগে মেয়েদের পায়ুপথে লিঙ্গ প্রবিষ্ট করাতেও দ্বিধাবোধ করত না। এইসব মোহজেররা ছিল যৌন দুর্ভিক্ষের শিকার, নবীর সাথে মদীনায় হিজরতের কারণে অধিকাংশ মোহাজেরই তাদের বউ মক্কায় ফেলে এসেছিল। সুতরাং মেয়ে দেখলেই ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো হয়ে যেতো তারা। কোন মেয়ের সাথে ঘুমানোর সুযোগ পেলে এমন আচরণ করতো যে অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েটির কাছে তা বলাৎকার এবং গর্হিত বলে মনে হতো। মোহজেরদের এই অনাকাঙ্খিত আচরণের কথা আনসারি মেয়েরা রাসুলের কানে তুলে।

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post