অবিলম্বে আল্লাহর তরফ থেকে অহি নেমে আসল এবং পায়ুপথে সঙ্গম নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হলো। কুকুরের ষ্টাইলটি (পেছনের দিক হতে সঙ্গম) অবশ্য বহাল রইল, যদিও আনসারি মেয়েরা এই পদ্ধতিটির উপর খুব একটা সন্তুষ্ট ছিল না।
এপ্রসঙ্গে গোটাকয়েক হাদিস বর্ণনা করা হলো নীচে। নিশ্চয়তা দিচ্ছি, হাদিসগুলি আপনাদের বিস্তর মজার খোরাক জোগাবে।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১১, হাদিস নং-২১৫৯:
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিতঃ
ইবনে উমর ভুল বুঝেছিল (“তোমাদের স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের শস্যক্ষেত্র, সুতরাং যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তা চাষ কর”- কোরাণের এই আয়াতটির ভুল অর্থ বুঝেছিলেন ইবনে উমর), আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন। আসল ঘটনা এই যে আনসারদের এই গোত্রটি ছিল পৌত্তলিক। তারা ইহুদিদের পাশে বসবাস করত যারা ছিল কেতাবধারী সম্প্রদায়। জ্ঞানের ক্ষেত্রে তারা (আনসাররা) ইহুদিদেরকে শ্রেষ্ঠতর বলে গন্য করতো এবং তাদের রীতিনীতি অনুসরণ করত। কেতাবধারী সম্প্রদায়রা (অর্থাৎ ইহুদীরা) স্ত্রী-সঙ্গমকালে শুধুমাত্র একটি আসন ব্যবহার করত (চিৎ করে শায়িত অবস্থায়)। এই আসনটিতে মেয়েরা (অর্থাৎ তাদের যোনি) সবচেয়ে লুক্কায়িত অবস্থায় থাকে। আনসারদের এই গোত্রটি ইহুদিদের কাছ থেকে এই আসন শিখে নেয়। কিন্তু কোরেশরা মেয়েদেরকে সম্পুর্ণ ভাবে উলংগ করে নিত, এবং পেছন থেকে ও সামনে থেকে = উভয় দিক থেকেই আনন্দ পেতে চেষ্টা করত। মোহজেরগণ যখন মদীনায় এলো, তাদের মধ্যে জনৈক ব্যক্তি একজন আনসার রমনীকে বিয়ে করে। সে যখন তার সাথে এই ভাবে সঙ্গম করতে শুরু করল (অর্থাৎ মক্কা ষ্টাইলে), মেয়েটি তা পছন্দ করল না এবং তাকে বলল- একটিমাত্র আসনেই আমরা অভ্যস্ত। সেইভাবে কর, নচেৎ আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যাও। ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং রাসুলের (দঃ) কানে পৌছল। সুতরাং মহান আল্লাহ কোরাণের আয়াতটি অবতীর্ণ করলেন-“তোমাদের স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের শস্যক্ষেত্র, সুতরাং যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তা চাষ কর”। অর্থাৎ- সামনের দিক হতে, পেছনের দিক হতে কিংবা চিৎ করে শায়িত অবস্থায়। তবে এই আয়াত (শুধু
মাত্র) সন্তান প্রসবের ছিদ্রকে অর্থাৎ স্ত্রীযোনিকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।
সহি মুসলিমঃ বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩৩৬৪:
জাবির (বিন আব্দুল্লাহ) (রাঃ) বর্ণনা করেন যে ইহুদিরা বলত যে যদি কেউ পেছনের দিক হতে স্ত্রীযোনিতে যায় এবং স্ত্রী গর্ভবতী হয়, তবে সন্তান হবে টেরা চোখবিশিষ্ট। সুতরাং এই আয়াত নাজেল হলো- “তোমাদের স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের শস্যক্ষেত্র, সুতরাং যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তা চাষ কর”।
সহি বুখারিঃ ভলিউম-৬, বুক নং-৬০, হাদিস নং-৫১:
জাবির হতে বর্ণিতঃ
ইহুদিরা বলত: “যদি কেউ পেছনের দিক হতে স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে, তবে সে টেরা চোখবিশিষ্ট সন্তানের জন্ম দেবে”।
সুতরাং এই আয়াতটি নাজেল হলো- “তোমাদের স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের শস্যক্ষেত্র, সুতরাং যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তা চাষকর”।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১২, হাদিস নং-২২১২:
উরুয়া হতে বর্ণিতঃ
খাওলা ছিল আউস ইবনে আস-সামিতের স্ত্রী; সে এমন একজন পুরুষ যার যৌনক্ষমতা ছিল অসাধারণ। যখন তার সঙ্গম-বাসনা খুব প্রবল হলো, সে স্ত্রীকে তার মায়ের পাছা বলে কল্পনা করে নিলো। সুতরাং জিহারের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ মহান আল্লাহ কোরানের আয়াত নাজেল করলেন (জিহার শব্দের অর্থ হচ্ছে স্ত্রীর কোন অঙ্গকে মা, খালা ইত্যাদি মাহরিম মেয়েলোকের অঙ্গের সাথে তুলনা করা বা কল্পনা করা)।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১২, নাম্বার-২২১৪:
ইকরিমা হতে বর্ণিতঃ
জনৈক লোক তার স্ত্রীর পাছাকে তার মায়ের পাছা হিসেবে তুলনা করেছিল। অতঃপর কোনরূপ প্রায়শ্চিত্ত করার পুর্বেই সে তার সাথে সঙ্গম করল। সে রাসুলের (দঃ) নিকট গেল এবং তাকে বিষয়টি জানাল। তিনি (তাকে) জিজ্ঞেস করলেন- এ কাজ করতে তোমাকে প্রেরণা জোগাল কে? সে বলল- আমি চাঁদের আলোতে তার শুভ্র জঙ্ঘা দেখতে পাই। তিনি বললেন-যে পর্যন্ত তুমি তোমার কাজের প্রায়শ্চিত্ত না করেছ, সে পর্যন্ত তার (স্ত্রীর) কাছ থেকে দুরে থাক।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১১, নাম্বার-২১৫৭:
আবু হুরাইরা হতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (দঃ) বলেছেন: যে স্ত্রীর সাথে পায়ুপথে সঙ্গম করে, সে অভিশপ্ত।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-২৯, নাম্বার-৩৮৯৫:
আবু হুরাইরা হতে বর্ণিতঃ
যদি কেউ ঐশী কেতাবধারীকে অবলম্বন করে এবং সে যা বলে তাই বিশ্বাস করে (অর্থাৎ ইহুদি), অথবা ঋতুকালে স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে, অথবা স্ত্রীর পায়ুপথে সঙ্গম করে, -তবে মহম্মদের (দঃ) নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে সেগুলির সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।
ete moja pabar ki holo?
ReplyDeletelekhok saheb apni apnar paio pothe apnar torjoni angulti dea boshe thaken.. aro nanan kukamer idea paben..
ReplyDeletena na . torjone na ! aman BASH(bambo) dele valo hobe !
ReplyDeleteBOHUT MOZA PAISI. TOBE LEKHOKER PAUU POTHE EKTA TUBE LIGHT DHUKANO DOKAR
ReplyDeleteEta Dhormio Onuvuti er bepar...Strider Pau pothe Songom kora haram...kintu lekhoker pau pothe Bash Dhukano jaej ase...
ReplyDeleteএই সমস্ত লেখকের ব্লগে না আসাই ভাল।
ReplyDeleteএরা এই ধরনের ব্লগ লিখে এই সমস্ত কমেন্টস শুনে আরো বেশী মজা পায়।
এদের কোন ধর্ম নাই। এরা অসামাজিক।
আল্লাহ'র কালাম আর নবীজির হাদিস নিয়ে যারা ঠাট্টা-মজা করে তাদেরকে আল্লাহ তা'আলাই হেদায়েত করুক।
This is Perversion.
ReplyDeletebaiara lekhoker pau pothe only bagun enough. khobe moza pabe.
ReplyDeleteDhormeo sekkhar dorkar asa,comment gulo dakha dukho laglo(mon chaila manun,na chaila upohas korben na)
ReplyDeleteA good blog to know islam. All people, especially muslim must joing in this blog.
ReplyDeletePost a Comment