ইসলামে কাম ও কামকলা- ১৭

নবীর সেই সব নিশানধারী বরকন্দাজ- ইংরেজীতে যাকে বলে ফুট সোলজার- তাদের অবস্থাই বা কীরূপ ছিল? ইসলামের এইসব প্রাথমিক সেনানীদেরকে যৌনশিকারি বলে অভিহিত করলেও অত্যুক্তি হয় না। কোন কাফের রমনীকে বন্দী করতে পারলে আর রক্ষা নাই, তৎক্ষনাৎ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যৌনক্ষুধা মিটিয়ে নিতে একদন্ড বিলম্ব হতো না। এমনকি বন্দিনীটি গর্ভবতী হলেও তার উপর সওয়ার হতে সঙ্কোচ ছিল না তাদের।

বিষয়টি যখন খুবই সিরিয়াস পর্যায়ে চলে যায় তখন স্বয়ং আল্লাহপাককে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসতে হয়। বিধান করতে হয়- পিরিয়ড (ঋতুস্রাব) শেষ না হওয়া পর্য্যন্ত বন্দিনীদের সাথে সঙ্গম করা যাবে না। গর্ভবতীদের সাথে সঙ্গমও নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা খুব একটা কাজে লেগেছিল বলে মনে হয় না, নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে জিহাদিরা তখন বন্দিনীদের যোনিদেশের বাইরে বীর্যস্খলনের পদ্ধতি অনুসরণ করতে শুরু করে। ইসলামের এই প্রাথমিক সোলজাররা হতভাগী বন্দিনীদের উপর কীরূপ অশ্লীল এবং অমানবিক যৌননির্য্যাতন পরিচালনা করতো, সহিহ্ হাদিসগুলিতে তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। আমি এখানে কয়েকটিমাত্র হাদিস উল্লেখ করছি, আশা করি পাঠক পাঠিকারা এথেকেই ‘হলিপর্ণোগ্রাফি-লা ইসলামিক ষ্টাইল’ উপভোগ করতে পারবেন। (যুদ্ধ-বন্দিনী এবং ক্রীতদাসীর সাথে সেক্স করার বিস্তারিত বিবরণ থাকবে এই সিরিজের ৫নং কিস্তিতে)।
সহি বুখারিঃ ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৭:
আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ
মালে গনীমৎ (War Booty) হিসেবে আমাদের হাতে বন্দিনী আসলে আমরা তাদের সাথে সঙ্গমের সময় যোনিদেশের বাইরে বীর্যপাত ঘটাতাম। অতঃপর এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- “তোমরা কি সত্যিই এরূপ কর”? এই প্রশ্নটি তিনি তিনবার করেন। (তারপর তিনি বলেন) - “যে সব আত্মা জন্ম নেয়ার জন্যে নির্ধারিত, সেগুলি আসবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্য্যন্ত”।
সহি বুখারিঃ ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৫:
জাবির হতে বর্ণিতঃ রাসুলুল্লাহর জীবৎকালে আমরা কয়টাস ইন্টারাপশন পালন করতাম।
সহি বুখারিঃ ভলিউম ৯, বুক নং-৯৩, হাদিস নং-৫০৬:
আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ
বানুমুস্তালিক গোত্রের সাথে যুদ্ধকালে কিছু বন্দিনী তাদের (মুসলমানদের) দখলে আসে। তারা বন্দিনীদের সাথে এমনভাবে যৌনসম্পর্ক করতে চাইল যেন মেয়েগুলি গর্ভবতী না হয়ে পড়ে। সুতরাং বাইরে বীর্যপাতের বিষয়ে নবীর নিকট জানতে চাইল তারা। নবী বলেন- “এটা না করাই বরং তোমাদের জন্যে উত্তম। কারণ আল্লাহ যাকে সৃষ্টি করবেন তা লেখা হয়ে আছে, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত”। ক্কাজা বলেন- “আমি আবু সাইদকে বলতে শুনেছি যে নবী বলেছেন -‘আল্লাহর আদেশে আত্মার সৃষ্টি, আল্লাহর আদেশ ছাড়া কোন আত্মার সৃষ্টি হয় না”।
সহি বুখারিঃ ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৬:
জাবির হতে বর্ণিতঃ কোরাণ নাজেল হওয়ার সময় আমরা বাইরে বীর্যপাত পদ্ধতি প্রতিপালন করতাম।
উপরোক্ত হাদিসগুলি পাঠ করলে কী মনে হয় পাঠক? এর পরেও কি বুঝার কিছু বাকী থাকে? একদিকে পবিত্র গ্রন্থ নাজেল হচ্ছে, আরেকদিকে ইসলামী জেহাদিরা আশে-পাশের কাফের গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাদের ধনসম্পদ ও যুবতী নারীদের লুট করে আনছে। মালে গনীমৎ। মালে গনীমতের উপর ইচ্ছেমতো সওয়ার হওয়া কোন দোষের কাজ না, তবে মেয়েগুলির তলপেট ভারী হয়ে গেলে দায়দায়িত্ব এসে যায়। সে দায়িত্বকে পাশ কাটাতে তখন আল্লাহর সৈনিকেরা তাদের পবিত্র বীর্য শিকারের যোনিদেশের ভেতরে নিক্ষেপ না করে বাইরে নিক্ষেপ করা শুরু করে এবং এই প্রথার পক্ষে আল্লাহর রাসুলের এ্যাপ্রুভাল নেয়ার চেষ্টা করে। কী দারুন মজা, একবার ভাবুন তো। একদিকে মুখে ঐশ্বরিক আয়াতসমুহের বুলন্দ তেলাওয়াত, আরেকদিকে যোনিপ্রদেশের বাইরে বীর্যপাতের মহোৎসব। কী চমৎকার কম্বিনেশন! বাৎসায়নের কামসুত্রও হার মানবে এর কাছে।
অসমাপ্ত

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post