ইসলামে কাম ও কামকলা- ১৬

তৃতীয় খন্ড

কয়টাস ইন্টারাপশন : যোনির বাহিরে বীর্য্যস্খলনঃ

Coitus interruption নামে ইংরেজী ভাষায় একটি টার্ম চালু আছে। এর বাংলা প্রতিশব্দ স্ত্রীযোনির বাইরে বীর্যপাত ঘটানো। একজন মুসলমান কয়টাস ইন্টারাপশনের নাম শুনলেই আঁতকে উঠবেন। তৌবা তৌবা, একেবারেই অনৈসলামিক শয়তানের কাজ এটি। হাজার হলেও পুরুষের বীজ পরম পবিত্র জিনিস, এর আশ্রয়স্থল একমাত্র স্ত্রীযোনি। সেই বৈধ স্থান ছাড়া অন্য কোথাও বীজ বপনের মতো নোংড়া কাজ একজন মুসলমান করতে পারে? এখন যদি বলা হয় যে নবীজি নিজেই কাপড়ের মধ্যে বীর্যপাত ঘটাতেন, তার প্রিয় বালিকা-বধু আয়েশা সেই কাপড় ধৌত করে দিতেন এবং রসুল সেই কাপড় পড়ে নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন, কথাটি আপনার কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হবে কি? কথাটি আপনার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, তবে প্রকৃত ঘটনা তাই! মা আয়েশার মুখ থেকে বিষয়টি যাচাই করে নিন তা’হলে।

সহি বুখারিঃ ভলিউম-১, বুক নং-৪, হাদিস নং-২৩১:
সুলাইমান বিন ইয়াছার হতে বর্ণিতঃ
আমি আয়েশাকে বীর্য জড়িত কাপড় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর করেন- “আমি রাসুলুল্লাহর (দঃ) কাপড় হতে বীর্য ধৌত করে দিতাম এবং পানির দাগ ভালভাবে না শুকাতেই তিনি তা পড়ে নামাজ পড়তেন”।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১১, হাদিস নং-২১৬১:
উম্মুল মোমেনিন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ
আমার ঋতুকালে রাসুলুল্লাহ (দঃ) এবং আমি একই কাপড়ের নীচে শুয়ে থাকতাম। যদি আমার (শরীর) থেকে কোন কিছু তার কাপড়ে লাগত, তিনি সেই জায়গা ধুয়ে ফেলতেন, এর বাইরে ধুতেন না। যদি নিজের স্খলন হতে কাপড়ে দাগ লাগত, তিনি সে জায়গা ধুয়ে ফেলতেন, এর বাইরে ধুতেন না; এবং তা পরিধান করেই নামাজ পড়তেন।

এখানে কিছু প্রশ্ন এসে যায়। বধুটি ঋতুমতী, তার সাথে স্বাভাবিক উপায়ে সেক্স করার পথ রুদ্ধ। নবী কি তা’হলে কয়টাস ইন্টারাপশন পালন করতেন? কিংবা বালিকা বধুটির কাছে এসে এতটাই কামতাড়িত হয়ে পড়তেন যে কাপড়ের উপরই তার বীর্যস্খলন হয়ে যেতো? পবিত্র বীজ যথাস্থানে না পড়ে কাপড়ের উপর পড়তো? ভাবার বিষয়।
অসমাপ্ত

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post