ইসলামে কাম ও কামকলা ১১

এই লেখাটি পূর্বে ইসলামে সেক্স নামে প্রকাশ করছিলাম। কিন্তু মূল লেখক এর নাম দিয়েছিলেন ইসলামে কাম ও কামকলা। ফলে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ থেকে যায়। সেজন্য এখন থেকে লেখাটি তার মূল নামেই প্রকাশিত হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মূল লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় মুক্তমনা ওয়েবসাইটে। কিন্তু সেখানে এটা ছিল পিডিএফ ফাইল হিসেবে। এই লেখাটির ইউনিকোড ভার্সন একমাত্র অগ্নিসেতু ব্লগেই প্রকাশিত হয়েছে। অগ্নিসেতু ব্লগে ইসলামে সেক্স নামে ইউনিকোড ভার্সনটি নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছিল। এখন থেকে এই তথ্যবহুল, আকর্ষণীয় ও সুখপাঠ্য রচনাটি ইসলামে কাম ও কামকলা নামে প্রকাশ করা হবে।

ঋতুমতি মেয়েদের সাথে রতিক্রিয়ার বিধান আছে কি?

বিবি আয়েশার ঋতুকালীন অবস্থায় মহম্মদ (দঃ) তার সংগে কী আচরণ করেছেন নীম্নের হাদিসগুলি হতে সে বিবরণ পাওয়া যায়।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১, হাদিস নং-০২৭: উম্মুল মোমেনিন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ
উমারাহ ইবনে ঘোরাব বলেন যে তিনি তার খুড়ির নিকট শুনেছেন যে তিনি (খুড়ি) আয়েশাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- যদি আমাদের মধ্যে কেউ ঋতুস্রাব অবস্থায় থাকে এবং স্বামী-স্ত্রীর একটার বেশী বেড না থাকে, সে অবস্থায় তারা কী করবে? উত্তরে তিনি (আয়েশা) বলেছিলেন- এই অবস্থায় আল্লাহর রাসুল (দঃ) কী করেছেন আমি তোমাকে তা বলছি। আমার ঋতুকালীন সময়ে এক রাত্রে তিনি আমার ঘরে আসলেন। তিনি নামাজের জায়গায় গেলেন, অর্থাৎ সেই ঘরে নামাজের জন্যে সংরক্ষিত যে জায়গা ছিল সেই জায়গায়। তিনি যখন ফিরে আসেন তখন আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন; ঠান্ডায় তিনি ব্যাথা বোধ করছিলেন। এবং তিনি বললেন- আমার কাছে আস। আমি বললাম- আমার ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে। তিনি বললেন- তোমার উরুদ্বয় উন্মুক্ত কর। সুতরাং আমি আমার উরুদ্বয় আবরণমুক্ত করলে তিনি তখন তার চিবুক ও বক্ষ তার মাঝে রাখলেন। আমি তার উপর ঝুকে বসে রইলাম যে পর্য্যন্ত না তিনি উষ্ণ হলেন এবং ঘুমিয়ে পড়লেন।

উপরের কাহিনীটির অনেক ধরণের ব্যাখ্যা সম্ভব। নিরপেক্ষভাবে বলতে গেলে বলতে হয় যে ঘটনাটি বরং মহম্মদের (দঃ) মহত্বই প্রতিষ্ঠিত করে। কারণ অন্ততপক্ষে তিনি স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাবকে কোন রোগ বলে বিধান দেননি, উপরন্তু ঋতুকালেও আয়েশার সাথে প্রীতি ও ভালবাসাযুক্ত আচরণ করেছেন। প্রাণবন্ত একজন তরুনী আয়েশা, তার ঋতুকালীন অবস্থায় মোহম্মদের (দঃ) এই আচরণ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। এস্থলে সহি বুখারি থেকে আরও একটি হাদিস উদ্ধৃত করা হলো যা থেকে প্রমানিত হয় যে মহম্মদ (দঃ) তার প্রিয় স্ত্রী আয়েশার সাথে ঋতুকালেও অত্যন্ত প্রীতিময় আচরণ করতেন।

মোহম্মদ আয়েশাকে তার ঋতুকালেও আলিঙ্গন করতেন.........৩.৩৩.২৪৭।
সহি বুখারিঃ ভলিউম-৩, হাদিস নং-২৪৭:

আয়েশা হতে বর্ণিতঃ আমার ঋতুকালেও নবী আমাকে আলিঙ্গন করতেন। তিনি যখন ইতিকাফে বসতেন, তখনও তিনি মসজিদ হতে মাথা বাড়িয়ে দিতেন। আমি ঋতুমতী অবস্থায়ই তার মাথা ধুইয়ে দিতাম। এখন প্রশ্ন, ঋতুমতী অবস্থায় স্ত্রী কতটুকু পর্য্যন্ত হালাল? নীম্নের হাদিসটি হতে এর ইসলামি সমাধান জেনে নিন।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১, হাদিস নং-০২১২: আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ আল আনসারি হতে বর্ণিতঃ আব্দুল্লাহ আল্লাহর রাসুলকে (দঃ) প্রশ্ন করলেন- যখন আমার স্ত্রী হায়েজ অবস্থায়, তার সাথে কতটুকু পর্য্যন্ত বৈধ? তিনি উত্তর দিলেন- তার কোমর বন্ধনীর উপরের অংশ তোমার জন্যে হালাল।
উক্ত বর্ণনাকারীর পুর্ণাঙ্গ বর্ণনা হতে জানা যায় যে ঋতুকালীন অবস্থায় স্ত্রীর সাথে এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করাও বৈধ।
অসমাপ্ত

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post