নাস্তিকের ইস্তেহার


নাস্তিকের ইস্তেহার
মূল: স্যাম হ্যারিস (Sam Harris)
অনুবাদ: অগ্নি অধিরূঢ়

পৃথিবীর কোন একজন মানুষ একটি ছোট মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেয়েটিকে ধর্ষণ ও নির্যাতন শেষে খুন করা হবে। এই ধরণের নৃশংস ঘটনা যদি ঠিক এই মুহূর্তে নাও ঘটে, তাহলেও এটা ঘটবে। কয়েক ঘন্টার মধ্যে অথবা খুব বেশি হলে এক দিন লাগতে পারে। পরিসংখ্যানের নিয়ম অনুযায়ী এ ধরণের নিশ্চিত বর্ণনা দেয়া সম্ভব। পৃথিবীর ছয় মিলিয়ন মানুষের জীবনে কি ঘটে তাও বলা সম্ভব এই পরিসংখ্যানের সূত্র থেকে। এই পরিসংখ্যান আমাদেরকে বলছে যে ঠিক এই মুহূর্তে মেয়েটির বাবামা বিশ্বাস করছে - সর্বশক্তিমান ও প্রেমময় ঈশ্বর তাদেরকে ও তাদের পরিবারের সবকিছু দেখছেন। এ ধরণের বিশ্বাস রাখা কি সঠিক? তারা যে এরকম বিশ্বাস করছে, তা কি ভাল?

এর প্রতিক্রিয়ার প্রতি সংযম প্রদর্শনই নাস্তিকতার প্রধান আচরণ। নাস্তিকতা কোন দর্শন নয়। এমনকি পৃথিবীর নিজস্ব কোন দৃষ্টিভঙ্গীও নয়। এটা আসলে সোজা পথকে অস্বীকার করার প্রবণতাকে প্রত্যাখ্যান করে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করি, যেখানে 'স্পষ্টতা'কে নীতিবাদের দোহাই দিয়ে উপেক্ষা করা হয়েছে।

অথচ 'স্পষ্টতাকে' পর্যবেক্ষণ করা উচিত। আলোচনায় বিশ্লেষণ করার জন্য 'স্পষ্টতাকে' বারবার পরীক্ষা করা উচিত। এটা প্রশংসাহীন কাজের মত। এর জন্য কেউ ধন্যবাদ দিবে না। বিরক্তি ও সংবেদনহীনতার এক বলয় একে সবসময় ঘিরে রাখে। এটা আসলে, বস্তুত: নাস্তিকরা এ ধরণের ধৈর্যশীল হতে চায় না।

বলা বাহুল্য, কেউ জোতিষশাস্ত্রী বা মধ্যযুগীয় রসায়নবিদদেরকে অবিশ্বাসী হিসেবে নিজেকে ভাবার প্রয়োজন বোধ করে নি। ফলস্বরূপ, এইসব অপধারণার বৈধতাকে যারা উপেক্ষা করে সেই মানুষদের জন্য আমরা কোন শব্দ ব্যয় করতে চাই না। একইভাবে নাস্তিকতা এমন একটি ধারণা যার কোন অস্তিত্ব নেই। নাস্তিকতা আসলে খুব বড় কিছু না। তথাকথিত ধর্মীয় বাতাবরণে বাসকালীন সময়ে মানবিক ও বিবেকবান মানুষেরা যেসব শব্দাবলি ইচ্চারণ করেন, নাস্তিকতা তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। একজন নাস্তিক ব্যক্তি খুব মহা কিছু নন। তিনি শুধু এটুকু বিশ্বাস করেন যে, আমেরিকার যে ২৬০ মিলিয়ন জনগণ (মোট সংখ্যার ৮৭%) বলে -"কখনও ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাস করিনি", তাদেরকে এর বাস্তবতার স্বপক্ষে প্রমাণ দেখাতে হবে। আর হ্যাঁ, একজন নাস্তিকের সহানুভূতিপ্রবণ মন এই পৃথিবীতে প্রতিদিন মানবতার যে ভয়াবহ অপমান দেখে, তাকে প্রত্যাখ্যান করে।

আমাদের অবস্থা যে কতোটা অলৌকিকঘেঁষা, রহস্যময় একথা শুধুমাত্র নাস্তিকরা স্বীকার করে। আমরা বেশিরভাগ ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। এই ঈশ্বরের সাথে অলিম্পাস পর্বতের ঈশ্বরের মূলগত কোন প্রভেদ নেই। পুরুষ বা মহিলা, যতটুকু যোগ্যতা থাক না কেন, এমন কেউ নেই যিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক অফিসগুলোতে গিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে নিশ্চিত করার ছলনা খুঁজে পাবেন না। মধ্যযুগে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী আমাদের দেশের জননীতিগুলো ধর্মীয় প্রথা ও অপসংস্কারগুলোকে উৎসাহিত করে। আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দুর্দশাগ্রস্থ, অমার্জনীয় এবং আতঙ্ককর। এই উদ্বেগ যদি আর না বাড়তো তাহলে তা খুব সুখের হত।


আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করি, যেখানে ভাল এবং খারাপ সব কিছু দৈবক্রমে হঠাৎ করে নষ্ট হয়ে যায়। পিতামাতা তাদের সন্তানকে হারিয়ে ফেলে, সন্তান তাদের পিতামাতাকে। স্বামী এবং স্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে পরস্পরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়; আর তারা একত্রিত হয় না। এই জীবন, যখন ব্যাপক পরিসরে মূল্যায়ন করা হবে, তখন দেখা যাবে হাতে আমাদের অবশিষট তেমন কিছুই নেই। আমাদের জীবন হারানো নানাকিছুর যেন এক বিশাল প্রদর্শনী। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ মনে করে যে এর একটা সমাধান আছে। যদি আমরা ঠিকভাবে জীবন যাপন করি- নৈতিকভাবে না হলেও চলবে, কিন্তু পুরনো বিশ্বাস এবং বাঁধাধরা আচরণের কাঠামোতে যদি নিজেকে আবদ্ধ রাখি তাহলে আমরা যা চাই তার সব কিছু মৃত্যুর পরে ফিরে পাব। যখন আমাদের শরীর সজীব থাকবে না, যখন শরীরের অধিকার আমরা বিসর্জন দেব, তখন আমরা এক অন্য জগতের পথে রওনা করব। জীবিত থাকতে যাদেরকে আমরা ভালবাসতাম, তাদের প্রত্যেককে আবার ফিরে পাব। আর হ্যাঁ, অবশ্যই অতিরিক্ত মাবতাবাদী এবং অন্যান্য বিদ্রোহীদেরকে এই আনন্দমুখর জায়গার বাহিরে রাখা হবে। আর যারা তাদের অবিশ্বাসকে জীবিতাবস্থায় বাতিল করেছে তা অনন্তকাল ধরে সুখভোগের জন্য মুক্ত বিহঙ্গের মত স্বাধীন থাকবে।

সূর্যকে আলোকিত করা পারমানবিক ফিউশনের শক্তি থেকে শুরু করে- জেনেটিক এবং ধারাবাহিক বিবর্তনের এক অকল্পনীয় বিস্ময়কর জগতে বাস করি। একদিকে এই আলোকিত উদ্ভাবনগুলি আমাদেরকে নতুন চিন্তায় আন্দোলিত করছে বিপরীতে ক্যারিবিয়ার প্রমোদতরীর সমস্ত বৈশিষ্ট্য নিয়ে বেহেশত আমাদেরকে অগভীর ভাবনায় আচ্ছন্ন করে রাখছে। এটা সত্যি বিস্ময়করভাবে অদ্ভূত। যদি কেউ ভালভাবে বিষয়গুলো না জানেন, যে কেউ তার কথা ভাবতে পারেন, তিনি ভালবাসার মানুষদেরকে হারাবার যত ভয় থেকে ঈশ্বরসহ বেহেশতের কথা তার নিজস্ব চিন্তাকাঠামো অনুযায়ী তৈরি করেছেন।



সম্প্রতি নিউ অরলিন্সকে ধ্বংস করে দেয়া হারিকেন ক্যাটরিনা'র বিষয়টা বিবেচনা করুন। প্রায় ১ হাজার মানুষ মারা গেছে, ১০ হাজার জনের স্থাবর সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গেছে এবং ১ মিলিয়নের বেশি মানুষ তাদের ঘরহারা হয়েছে। নিশ্চিত করে এটা বলা যায় যে, যে মুহূর্তে ক্যাটরিনা আঘাত হানছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে নিউ অরলিন্সের বেশিরভাগ মানুষ এক সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ ও করুণাময় ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিল। কিন্তু যখন ক্যাটরিনা তাদের শহরকে বিধ্বস্ত করছিল, তখন ঈশ্বর কি করছিলেন? জলোচ্ছ্বাসে ডুবন্ত অবস্থাতেও বাড়ির চিলেকোঠা রক্ষার জন্য বয়স্ক ও মহিলাদের প্রার্থনা তিনি অবশ্যই শুনেছেন। কিন্তু তিনি কিছুই করেন নি। ওদের সকলের সলিলসমাধি ঘটেছে। এই মানুষেরা সবাই বিশ্বাসী ছিল। জীবনের জন্য যারা প্রার্থনা করেছিল, তারা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ভাল মানুষ ছিলেন। সরলতাকে গ্রহণ করার মত সৎসাহস একমাত্র নাস্তিকেরই আছে। এই হতভাগা লোকগুলো এক কল্পিত বন্ধুর সান্নিধ্যেই জীবন কাটিয়ে দিল।

হ্যাঁ, বাইবেলে উল্লেখ আছে এমন একটি ঝড় নিউ অরলিন্সে আঘাত হানবে- এরকম একটি সতর্কবার্তা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু আসন্ন ঝড়ের প্রতি মানুষের প্রতিক্রিয়া ছিল একেবারেই দুর্বল। আমরা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে একে দুর্বলতা বলছি। নির্বাক প্রকৃতির কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নেয়ার মত করে আবহাওয়াবিদগণ বিভিন্ন উপাত্ত ও উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবির মাধমে ক্যাটরিনার যাত্রাপথ আগেভাগেই জেনেছেন। ঈশ্বর তার পরিকল্পনার কথা কাউকে বলেনি। নিউ অরলিন্সের বাসিন্দারা কি ঈশ্বরের বদান্যতার উপর ভরসা রেখে নিশ্চিন্ত ছিল? মুখের উপর দমকা বাতাস আঘাত হানার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা হয়ত জানত না যে এক হিংস্র হারিকেন তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে যাচ্ছে। এখনও ওয়াশিংটন পোস্ট কর্তৃক পরিচালিত এক জরীপে দেখা গেছে ক্যাটরিনার হাত থেকে বেঁচে যাওয়াদের ৮০% মনে করে এই ঘটনা ঈশ্বরের উপর তাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ় করেছে।

রাক্ষুসে হারিকেন ক্যাটরিনা যখন নিউ অরলিন্সকে গিলে খাচ্ছিল, তখন ইরাকের এক ব্রিজে হাজারের মত Shiite তীর্থ যাত্রী পদদলিত হয়ে মারা যাচ্ছিল। এই তীর্থযাত্রীরা যে কোরানের ঈশ্বরের সর্বশক্তিমানতায় বিশ্বাস করতো সেবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। বস্তুত: তাদের জীবন তাঁর (ঈশ্বরের) অস্তিত্বের অবিসংবাদিত ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে বিন্যাস্ত হয়েছে। তাদের নারীরা পুরুষের সামনে নিজেদেরকে ঢেকে রাখে। তাদের পুরুষরা তাঁর (ঈশ্বরের) বাক্যাবলীর প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যাখ্যাকে কেন্দ্র করে নিয়মিতভাবে একে অপরকে হত্যা করে। এই বিষাদান্তক ঘটনাপ্রবাহ থেকে বেঁচে যাওয়া কেউ যদি নিজেদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে তাহলে তা অবশ্যই বিশেষ ঘটনা বলে চিহ্নিত হবে। খুব সম্ভবত: যারা বেঁচে যায় তারা একে ঈশ্বরের অপার করুণা বলেই মনে করে। রক্ষা পাওয়াদের এই আত্মপ্রবঞ্চনা ও সীমাহীন আত্মপ্রেমকে একমাত্র নাস্তিকরাই শনাক্ত করতে পারে।

শুধুমাত্র নাস্তিকরাই বুঝতে পারে যে বিপর্যয় থেকে বেঁচে যাওয়ারা ঈশ্বরের অশেষ অনুগ্রহ লাভ করেছে এটা বিশ্বাস করা নীতিগতভাবে কতটাই না আপত্তিজনক। অথচ সমসাময়িক সময়ে সেই ঈশ্বর তাদের শিশুদেরকে দোলনাতেই মেরে ফেলেছে। পরকালের কল্পনার আতিশয্যে অতিষ্ট এই পৃথিবীর বাস্তবতার ভান করাকে সে (নাস্তিক) প্রত্যাখ্যান করেছে। জীবন যে কত মূল্যবান তা একজন নাস্তিক হাড়ে হাড়ে অনুভব করেন এবং বস্তুত যথাযথ কোন কারণ ছাড়াই লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের সুখভোগকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলছে এটা যে কত দুর্ভাগ্যজনক- এই বিষয়টাও একজন নাস্তিক ভাল বোঝেন।

এটা বিস্ময়কর যে আর কত বেশি ও অকারণ বিপর্যয় ঘটলে বিশ্বাসের জগত কেঁপে উঠবে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকাস্ট (Holocaust) পারেনি, রুয়ান্ডার গণহত্যা (Genocide in Rwanda) পারেনি, এমনকি রুচিহীন কাজের কাজী অস্ত্রধারী ধর্মনেতাটিও পারেনি। বিশ শতকে পাঁচ মিলিয়ন মানুষ গুটিবসন্তে (Smallpox) মারা গেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ছিল। ঈশ্বরের পথ সত্যিই দুর্বোধ্য। আমার মনে হচ্ছে, যে কোনভাবে হোক, যত নিন্দামূলক হোক না কেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের তুলনায় এটা (গণহত্যাগুলি) প্রতিদানযোগ্য হতে পারে। বিশ্বাসের বিষয়ে আসলে বলতে হয়, এর মাধ্যমে আমরা পৃথিবীলগ্নতা থেকে বিযুক্ত হয়েছি।

বিশ্বাসী মানুষরা নিয়মিত পরস্পরকে এই বলে সান্তনা দেয় যে, মানুষের ভোগান্তির জন্য ঈশ্বর দায়ী নন। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝব যে ঈশ্বর সর্বজ্ঞ এবং সর্বশক্তিমান? আর কোন পথ নেই। এটা থিওডিসির (Theodicy) পুরনো সমস্যা। আর হ্যাঁ, আমাদের একে সমাধানযোগ্য বলে মনে করা উচিত। যদি সত্যি ঈশ্বর থেকে থাকে, তাহলে তিনি হয় কোন কুখ্যাত প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে থামানোর ব্যাপারে কিছু করতে পারেন না, অথবা এতে তার কোন কিছু যায় আসে না। এতে মনে হয় ঈশ্বর হয় নপুংশক অথবা হিংস্র। ধার্মিক পাঠকদেরকে পরবর্তী লাইনটি পড়তে মানা করছি। "মানবীয় নীতিনৈতিকতার মানদণ্ড দিয়ে ঈশ্বরকে বিচার করা সম্ভব নয়"। কিন্তু হ্যাঁ, অবশ্যই, ঈশ্বরের ভালত্বকে প্রথম স্থানে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মানবীয় নৈতিকতার মানদণ্ডকে ঠিকঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়। অথচ এগুলোকে যতটা অচিন্তনীয় ভাবা হয়, ততটা দুর্বোধ্য নয়। যদি আব্রাহামের (ইব্রাহিম) ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকত, তাহলে তিনি শুধুমাত্র এই বিশাল সৃষ্টিজগতের নয়, মানুষ হবারও অযোগ্য হতেন।

আর একটি সম্ভাব্যতা অবশ্যই রয়েছে। ধর্মীয় ঈশ্বর আসলে কাল্পনিক- এটাই সবচাইতে যথাযথ এবং সবচেয়ে কম নিন্দনীয়। রিচার্ড ডকিন্স যেমন বিশ্লেষণ করেছেন- আমরা, সব নাস্তিকেরা জিউস, থর সকলকে শ্রদ্ধা করি। শুধুমাত্র নাস্তিকরাই বোঝে যে, ধর্মীয় ঈশ্বরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর অশেষ বিড়ম্বনাকে গ্রহণ করে নাস্তিকরাই শুধু প্রবলভাবে আবেগতাড়িত হন। এটা ভয়ংকর যে আমরা সবাই মারা যাব, এবং আমাদের প্রিয় সবকিছু হারিয়ে যাবে। এর দ্বিগুণ ভয়ংকর ঘটনা হল অনেক মানুষ জীবিতাবস্থাতেই অপ্রয়োজনীয় কষ্ট ভোগ করছে। এই অশেষ যন্ত্রণার প্রধান কারণ হল সরাসরি ধর্ম।

ধর্মীয় বিদ্বেষ, ধর্মযুদ্ধ, ধর্মীয় ভ্রান্তি, পবিত্র মতবাদের ধর্মীয় বিভিন্নতা ইত্যাদি নাস্তিকতাকে নৈতিকতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক আবশ্যকতায় রূপান্তরিত করেছে। এটা অতীব জরুরি প্রয়োজনীয়তা, যদিও এর কারণটি নাস্তিকদের সমাজের প্রান্তসীমায় স্থান দিয়েছে। শুধুমাত্র বাস্তবতার নৈকট্যে বাস করার কারণে নাস্তিকরা পড়শীর অলীক জীবনের সান্নিধ্য থেকে লজ্জা পেয়ে বিমুক্ত হয়েছে।

কয়েকদিন পূর্বে আমি স্যাম হারিসের আপনারা জানেন আসলে কোন ঈশ্বর নেই শীর্ষক একটি লেখার অনুবাদ প্রকাশ করেছিলাম। ওইরচনাটি মূল প্রবন্ধের সারাংশ হিসেবে The Huffingtonpost এর ২০০৫ সালের ৬ অক্টোবর সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। সেই মূল রচনাটি হল বক্ষমান প্রবন্ধ। এটা TruthDig.com এ ২০০৫ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখে প্রকাশিত হয়েছে।

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post