বিজ্ঞান ধর্মকে অবশ্যই ধ্বংস করবে
(Science must destroy religion)
স্যাম হারিস
অনুবাদ: অগ্নি অধিরূঢ়
(Science must destroy religion)
স্যাম হারিস
অনুবাদ: অগ্নি অধিরূঢ়
বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে যে, এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা ধর্মগ্রন্থগুলো লিখেছে (অথবা বর্ণনা করেছে)। দুঃখজনক ব্যাপার হল অনেক রকমের বই স্বর্গীয় লেখকের অজুহাত তোলে এবং আমরা কিভাবে জীবন যাপন করব সে বিষয়ে প্রত্যেকটাই নানারকম অসংগত পরামর্শ দেয়। সমগ্র খ্রিস্টান জগতের ঐক্য প্রয়াসী কিছু মানুষের উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই এলোমেলো ধর্মীয় অঙ্গীকারগুলো এখনও মানুষের পারস্পরিক হানাহানিকে আশংকাজনক পরিমাণে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এই অবস্থার প্রতিক্রিয়ায় বেশিরভাগ সংবেদনশীল মানুষ একটি জিনিষের পক্ষে ওকালতি করে, সেটা হল "ধর্মীয় সহনশীলতা"। এই ধর্মীয় সহনশীলতা ধর্মীয় দাঙ্গার চাইতে অবশ্যই অপেক্ষাকৃত ভাল, কিন্তু এই সহনশীলতাকে একেবারে দায়িত্ববোধহীন হলে চলবে না। আমাদের আশংকা যে, ধর্মীয় ঘৃণার ক্রোধ থেকে আমরা যে প্রতিদান পাই, বিভিন্ন ধারণাকে সমালোচনার জন্য তা যথেষ্ঠ নয়। অথচ এই ধারণাগুলো স্পষ্টত অযৌক্তিক, উদ্ভট এবং অভিযোজিত হতে ব্যর্থ। ধর্মীয় বিশ্বাস ও বৈজ্ঞানিক গ্রহণযোগ্যতা এই দুটির মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে এই ধর্মীয় ক্রোধ তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে আমাদেরকে আইন ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিজের সাথে মিথ্যাচার করতে বাধ্য করে।
ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়া স্বাভাবিক এবং এর ফলাফল শূন্য। ধর্মীয় বিশ্বাসের বিপরীতে বিজ্ঞানের বিজয় সবসময় হয়ে থাকে। নিজের লালন পালনের জন্য শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানের কাছে ধর্মকে বিকিয়ে যেতে হয়। মানবীয় জীবনবোধের মৌলিক বিষয় নিয়ে একটা কথা স্বীকার করার সময় এখন হয়ে গেছে:- কোন কিছু বিশ্বাস করার স্বপক্ষে একজন মানুষের যথাযথ ও উপযুক্ত কারণ হয় থাকবে অথবা থাকবে না। যখন কারো বিশ্বাস করার স্বপক্ষে ভাল কারণ থাকে, তখন তার বিশ্বাস আমাদের এই পৃথিবী সম্পর্কে জ্ঞানগত অগ্রগতির সাথে মিশে যেতে চায়। জটিল ও সহজ বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য করার কোন প্রয়োজন আমাদের নেই। এমন কি প্রমাণসাপেক্ষ বিভিন্ন জ্ঞান যেমন ইতিহাসের সাথেও বিজ্ঞানকে পার্থক্য করা অনুচিত। ১৯৪১ সালের ৭ জুলাই তারিখে জাপান যে পার্ল হারবারে বোমা ফেলেছে তা বিশ্বাস করার জন্য অনেক যথার্থ কারণ আছে। ভাল কারণগুলোর প্রেক্ষিতে আমরা জানি যে 'মিসরীয়রা পার্ল হারবারে বোমা ফেলেছে' এই ভাবনার কোন মূল্যই নেই। প্রত্যেক সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বুঝতে পারে যে, কোন নির্দিষ্ট ঐতেহাসিক প্রশ্নের উত্তরে শুধু 'বিশ্বাস' এর উপর আস্থা রাখা সম্পূর্ণরূপে বোকামী এবং সামঞ্জস্যহীন দুটোই। যখন নির্দিষ্ট উত্তরের অনুসন্ধান বাইবেল, কোরান প্রভৃতি বইয়ের সূত্র ধরে, যখন যীশুর পুনরুত্থান বা গাব্রিয়েল ফেরেশতার সাথে মোহাম্মদের কথাবার্তার প্রসঙ্গ টানে, অথবা অন্য যে কোন পবিত্র প্যারোডির কথা বলে, য আসলে এখনও মানুষের অজ্ঞতার বিপরীতে নিজেকে বিজয়ী মনে করে তাকে হাঁসজারু ছাড়া অন্য কিছু মনে হয় না।
সম্পূর্ণ উপলব্ধি দিয়ে চিন্তা করলে দেখা যায় যে, মানুষ এবং পৃথিবী সম্পর্কে সব ধরণের জ্ঞানের গ্রহণযোগ্য উৎস হল বিজ্ঞান। যদি যীশু কুমারী মাতার সন্তান বা মোহাম্মদ পাখাওয়ালা ঘোড়ার পিঠে চড়ে মহাকাশ ভ্রমণ করেছিল এসব বিশ্বাস করার পক্ষে ভাল কারণ থাকে তাহলে বলতে হবে যে এগুলো আসলে মহাকাশ সম্বন্ধে সাধারণ মানবীয় বর্ণনার অংশ। যখন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন ধর্মবিশ্বাসী মানুষদের একে অপরকে দেয়া কিছু কুপরামর্শে বিশ্বাস করার অবাধ লাইসেন্স ছাড়া ধর্ম আর কিছু নয়। বিজ্ঞান ও ধর্মের পার্থক্য হল কোন নতুন প্রমাণ ও নতুন বিতর্কের প্রতি অনাগ্রহী বিবেচনা এবং তা করার জন্য আগ্রহী উৎসাহের সাথে আশাবাদী ইচ্ছাশক্তির পার্থক্য। এই পার্থক্য খুব বেশি ষ্পষ্ট হওয়া উচিত নয়।
অসমাপ্ত
মি. অগ্নি,
ReplyDeleteস্বকৃত গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদ ‘মোহাম্মদের কি মৃগীরোগ ছিল?’ ব্লগে রাখেননি কেন?
হ্যাঁ, অবশ্যই রাখবো। ধন্যবাদ।
ReplyDeleteIf science destroy religion only the God can save it.If religion is faith science is also faith. Then my question is, what is faith? Is it absolute or relative.
ReplyDeleteI am sorry to say that you don't understand since and faith both.
ReplyDeletePost a Comment