সুরা দুখান (৪৪): ৫১-৫৪: “নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে, উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিণীসমুহে। তারা ব্যবহার করবে পাতলা ও কিংখাবখচিত রেশমী বস্ত্র, পরস্পর মুখোমুখী হয়ে বসবে। এরূপই হবে এবং তাদের জন্যে রয়েছে আয়তলোচনা স্ত্রীগণ”।
সুরা আর-রহমান (৫৫): ৫৪-৫৮: “তারা সেথায় রেশমের আবরণবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় জান্নাতের ফল ঝুলবে তাদের সামনে। অতএব তোমাদের পালনকর্তার কোন্ অবদানকে অস্বীকার করবে? তথায় থাকবে আয়তলোচনা রমনীগণ, কোন মানব ও জ্বিন পুর্বে তাদেরকে ব্যবহার করে নাই।….প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমনীগণ”।৭০-৭৪: “সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমনীগণ। অতএব তোমাদের পালনকর্তার কোন্ অবদানকে অস্বীকার করবে? তাবুতে উপবেশকারী হুরগণ।….কোন মানব ও জ্বিন পুর্বে
তাদেরকে স্পর্শ করেনি”। সুরা ওয়াক্কিয়া (৫৬): ৩৫-৩৮: “আমি জান্নাতের রমনীদিগকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী। কামিনী, সমবয়স্কা। ডানদিকের লোকদের জন্যে”। সুরা আন্-নাবা (৭৮): ৩১-৩৪: “পরহেজগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য, উদ্যান, আঙ্গুরবীথি। সমবয়স্কা, ইন্দ্রিয়তৃপ্তিকারী তরুনী এবং পুর্ণ পানপাত্র”।
(কোরানুল করিমঃ মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন কর্তৃক অনুদিত)
উপরের আয়াতগুলি পড়লে বুঝা যায়, কেন অল্পবয়স্কা কুমারি বিয়ে করা উত্তম। কারণ আল্লাহপাক অল্পবয়েসী কুমারি মেয়ে পছন্দ করেন, তাই তিনি তার প্রিয় বান্দাদের মনোরঞ্জনের জন্যে বেহেশতে তার অঢেল সরাবরাহ নিশ্চিত করেছেন।
এজন্যেই বোধ হয় পারস্যের দার্শনিক কবি উমর খৈয়াম গেয়েছিলেন-
“স্বর্গ পুরের হর্মে নাকি
দেদার হুরি বসত করে,
সেথায় দেখ অঢেল সুরার
উর্মিমুখর ঝর্ণা ঝরে”।
আল্লাহর পাক কালামেও ঠিক অনুরূপ বিবরণই রয়েছে।
(চলবে)
Post a Comment