কথায় আছে- লাখ কথা খরচ করে একটি বিয়ে হয়। বিয়েতে শুধু যে লাখো কথা আর সুদীর্ঘ সময় লাগে তাই নয়, দেনমোহরের বোঝাটাও কম ভারী নয়। এতসব ঝামেলা এড়াতে অনেককে তাই ‘কুইক সেক্সের’ শরণ নিতে দেখা যায়। পৃথিবীর প্রাচীনতম এই পেশাটিতে রমনীর অভাব কোনকালে ছিল না। এক রাত্রির অতিথিদের আনন্দ দিতে তারা এক পায়ে খাড়া। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় এই সেক্সের নাম “এক রাত্রির খেল"- ওয়ান নাইট ষ্ট্যান্ড। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন- এই সহজ উপায়টির সমতুল্য বিধান পবিত্র ইসলামেও আছে! এক রাত্রির খেলার ইসলামি পারিভাষিক নাম- ‘মু’তা’। মু’তা ম্যারেজ। এই বিয়ের নিয়মানুযায়ী একজন পুরুষ কোন মেয়ের সাথে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে বিয়ের চুক্তি করে অনায়াসে তার সাথে সহবাস করতে পারে। যদিও সুন্নী সমাজে এই ধরণের বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, শিয়াদের মাঝে এখনও তা চালু আছে। মু’তা বিয়ের মাধ্যমে সন্ধেবেলায় একটি মেয়েকে বিয়ে করে সকালবেলায় কিক আউট করা খুবই সম্ভব। তালাক-ফালাকের কোন ঝামেলা নাই। মু’তা বিয়ে এক সাথে ঘুমানোর একটি চুক্তি মাত্র- এর বেশী কিছু নয়। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এক সাথে চার জনের বেশী বউ রাখা যদিও শরীয়তে নিষিদ্ধ, তবে মু’তা বা টেম্পোরারী বিয়ের ক্ষেত্রে এই বিধি প্রযোজ্য নয়। কোন বিশেষ সময়ে একজন মুসলমান কত জন অস্থায়ী বউ রাখতে পারবে, তার নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নাই। আধুনিক ভাষায় এরই নাম ‘ওয়ান নাইট ষ্ট্যান্ড’। মু’তা বিয়ের কোন টাইম লিমিট নাই। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ‘এক রাত্রির খেল’ প্রথাটি পুরোপুরি ইসলামসম্মত। মু’তা বিয়ের মাধ্যমে একজন মুসলমান ইচ্ছে করলে যে কোন সংখ্যক নারীর সাথে দিনরাত সঙ্গমসুখ উপভোগ করতে পারে। কথিত আছে যে নবীর (দঃ) দৌহিত্র হযরত হাসানের (রাঃ) বৈধ স্ত্রীদের অতিরিক্ত তিন শ’ জন সেক্স পার্টনার ছিল (ইসলামী পরিভাষায় অস্থায়ী স্ত্রী)। এদিক বিবেচনা করলে হযরত হাসানকে সে যুগের ইসলামী প্লেবয় আখ্যা দেয়া যেতে পারে। আমার বর্ণনায় আপনার সন্দেহ হচ্ছে? তাহলে নীচের সহি হাদিসটি লক্ষ্য করুন, দেখুন এক রাত্রির খেলের জন্যে সঙ্গিনী বা উপপত্নী যোগাড় করার ইসলামি নিয়ম কী?
সহি মুসলিমঃ বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩২৫৩: রাবি বিন ছাবরা হতে বর্ণিত হয়েছে যে মক্কা বিজয়ের সময় তার পিতা রাসুলুল্লাহর (দঃ) সাথে এক যুদ্ধে শরীক হয়। ‘আমরা সেখানে পনের দিন অবস্থান করি। আল্লাহর রসুল (দঃ) আমাদিগকে অস্থায়ী বিয়ের অনুমতি দেন। সুতরাং আমি আমার গোত্রেরই এক লোকের সাথে (মেয়ে খুজতে) বেরিয়ে পড়ি। আমার সঙ্গীর চেয়ে আমি দেখতে সুন্দর ছিলাম, পক্ষান্তরে সে দেখতে ছিল প্রায় কদাকার। আমাদের উভয়েরই পরণে ছিল একটি করে উত্তরীয় । আমার উত্তরীয়টি ছিল একেবারেই জীর্ণ, আমার সঙ্গীরটি ছিল আনকোরা নুতন।..শহরের একপ্রান্তে একটি মেয়ে দৃষ্টিগোচর হলো আমাদের। অল্পবয়েসী চমৎকার একটি মেয়ে, ঠিক যেন মরাল গ্রীবা চটপটে এক মাদী উট। আমরা বললামঃ আমাদের মধ্যে একজন তোমার সাথে অস্থায়ী বিয়ের চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চাই। তা কি সম্ভব? সে বলল- দেনমোহর বাবদ তোমরা আমাকে কী দিতে পার? আমরা উভয়েই তার সামনে আমাদের স্বস্ব উত্তরীয় মেলে ধরলাম। সে আমাদের উভয়ের উপর দৃষ্টি বুলিয়ে নিল। আমার সঙ্গীও মেয়েটির উপর দৃষ্টি বুলিয়ে নিল এবং বললো- ওর উত্তরীয় ছিড়ে গেছে, পক্ষান্তরে আমার উত্তরীয়টি একেবারে নুতন। মেয়েটি অবশ্য বললো- এই উত্তরীয়টি (পুরাতনটি) গ্রহন করায় ক্ষতি নাই। কথাটি সে দু’তিনবার বললো। সুতরাং আমি তার সাথে অস্থায়ী বিয়ে সম্পন্ন করে ফেললাম এবং যে পর্য্যন্ত আল্লাহর রসুল প্রথাটি নিষিদ্ধ ঘোষণা না করেন, সে পর্য্যন্ত এই সম্পর্ক আমি ছিন্ন করিনি।
যে প্রথা বাতিল হয়ে গেছে তার কথা বলে লাভ কি ?
ReplyDeleteএক সময় মদ খাওয়াও হালাল ছিল, পরে তা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে, কোন মুসলিম যদি মদ খায় সেটা কি ইসলাম ধর্মের দোষ ?
Post a Comment