অবশেষে মুসলিম সমাজে সবচেয়ে খাটি এবং অথেনটিক বলে পরিচিত সহি বুখারি ও সহি মুসলিম শরীফের কিছু অমুল্য হাদিস হস্তগত হয় আমার। এগুলি পড়ে বুঝতে পারলাম কেন আল্লাহপাক বিয়ের আগ পর্য্যন্ত মুসলমান মেয়েটির যোনীপ্রদেশ অক্ষত রাখতে এত আগ্রহী। পাঠক, আসুন হাদিস কয়টির উপর একটু চোখ বুলিয়ে নিইঃ
সহি বুখারি: ভলিউম-৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৬ জাবের বিন আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিতঃ
আমরা একবার নবীর সাথে একটি ‘গাজওয়া’ (বিধর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযানকে গাজওয়া বলা হয়) হতে ফিরছিলাম। আমি আমার উটটিকে খুব দ্রুত চালনা করতে চাইলাম। এটি ছিল অত্যন্ত অলস একটি উট। সুতরাং আমার পেছন হতে একজন আরোহী এসে তার হস্তস্থিত বর্শা দ্বারা খোঁচা মারতেই আমার উটটি এত দ্রুত ছুটতে শুরু করলো যে মনে হবে এর চেয়ে দ্রুতগামী উট আর নেই। দেখ! আরোহীটি ছিলেন স্বয়ং নবী। তিনি বললেন- ‘এত তাড়া কীসের তোমার’? আমি বললাম-আমি নুতন বিয়ে করেছি। তিনি বললেন- ‘তোমার বউ কুমারি না মেট্রন (বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা)’? আমি বললাম- সে একজন মেট্রন। তিনি বললেন- ‘কচি মেয়ে বিয়ে করলে না কেন? তাহলে তুমি তার সাথে খেলতে পারতে এবং সে তোমার সাথে খেলতে পারত’। যখন আমরা (মদীনায়) প্রবেশ করতে যাচ্ছি, নবী বললেন- ‘অপেক্ষা করো যেন তুমি রাত্রিবেলা (মদীনায়) প্রবেশ করতে পার। তহিলে মহিলা তার অবিন্যস্ত চুল আঁচড়িয়ে নেয়ার অবকাশ পাবে এবং যে নারীর স্বামী অনেকদিন অনুপস্থিত ছিল সে তার যৌনকেশ শেভ করার অবকাশ পাবে’। সহি বুখারিঃ ভলিউম-৩, বুক নং-৩৮, হাদিস নং-৫০৪: জাবের বিন আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিতঃ
আমি নবীর সাথে এক অভিযান থেকে ফিরছিলাম। আমার সওয়ারি উটটি ছিল মন্থর গতিসম্পন্ন এবং সবার পেছনে। [... যখন আমরা মদীনার সমীপবর্তী হলাম, আমি (দ্রুত) আমার (বাড়ীর) পথ ধরলাম। নবী বললেন- ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ’? আমি বললাম- ‘আমি একজন বিধবাকে বিয়ে করেছি’। তিনি বললেন- ‘তুমি কুমারি বিয়ে করলে না কেন? তাহলে তোমরা একে অপরের সাথে রঙ্গরস করতে পারতে’। [.....সহি মুসলিমঃ বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩৫৪৯: জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ.....আল্লাহর রসুল (দঃ) আমাকে বললেন- ‘তুমি কি বিয়ে করেছো’? আমি বললাম- হ্যা। তিনি বললেন- ‘সে কি কুমারি না পুর্ব-বিবাহিতা (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা)’? আমি বললাম- পুর্ব-বিবাহিতা। তখন তিনি বললেন- ‘কুমারির সাথে মজা করার স্বাদ থেকে বঞ্চিত রইলে কেন’? শু’বা বলেন- এই ঘটনার কথা আমি আমর বিন দিনারের কাছে উল্লেখ করলে আমর বলেছিলেন- আমিও জাবেরের মুখে বর্ণনাটি শুনেছি। (আল্লাহর রসুল) তাকে বলেছেন- তুমি একজন বালিকা বিয়ে করলে না কেন? তা’হলে তুমিও তার সাথে খেলতে পারতে, সেও তোমার সাথে খেলতে পারত।
Post a Comment