ইসলামে কাম ও কামকলা ৪২

নিচে মুক্তোসদৃশ আরও কিছু হাদিস বর্ণনা করা হলো। হাদিসগুলি পড়ুন এবং ভেবে দেখুন যে সেক্সের ক্ষেত্রে মেয়েদের উপর ইসলাম কতোই না দয়া, বেহেশতী দোয়া, সহানুভুতি এবং ন্যায়বিচার প্রদর্শন করেছে।

আপনি একই সাথে দুইজন যৌনদাসীর সাথে গোসল না করে সঙ্গম করতে পারেন; তবে স্বাধীন নারীর ক্ষেত্রে তা পারেননা। (মুয়াত্তাঃ ২.২৩.৯০) মুয়াত্তাঃ বুক নং-২, হাদিস নং-২.২৩.৯০:
..নাফি’র বরাতে মালিক কর্তৃক বর্ণিতঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উমরের যৌনদাসীগণ তার পা ধুইয়ে দিত এবং তার জন্যে তালপাতার চাটাই এনে দিত, যখন তাদের মাসিক হচ্ছিল।
মালিককে জিজ্ঞেস করা হয় যে যদি কোন ব্যক্তির স্ত্রী এবং কয়েকজন যৌনদাসী থাকে, তবে সে গোসল না করেই সবার সাথে সহবাস করতে পারে কিনা। তিনি বলেন- “গোসল না করেও দু’জন যৌনদাসীর সাথে সহবাস করায় দোষের কিছু নেই। তবে স্বাধীন নারীদের ক্ষেত্রে একজনের বরাদ্দের দিন অন্যের কাছে যাওয়ার অনুমতি নাই। প্রথমে একজন যৌনদাসীর সাথে প্রেম করে অতঃপর দ্বিতীয় জনের কাছে যাওয়ায় দোষের কিছু নাই, যদি সে জুনুব অবস্থায়ও থাকে”।
মালিককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে একজন লোক জুনুব অবস্থায় আছে। তার গোসলের জন্যে পাত্রে পানি ঢেলে দেয়া হলো। পানি গরম না ঠান্ডা তা পরখ করতে লোকটি পানিতে আঙ্গুল ছোয়াল। মালিক বলেন- “যদি তার আঙ্গুলে কোন নাপাকি না লেগে থাকে, তাহলে আমি মনে করি না যে এজন্যে পানি অপবিত্র হয়ে গেছে।”
নীচের হাদিসটি পড়লে আপনার বিবেক একেবারেই স্তব্ধ হয়ে যাবে পাঠক। এমন যে লৌহহৃদয় হযরত ওমর, তিনি পর্যন্ত এই ঘটনা সহ্য করতে পারেননি। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে যে ওমর কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত দাসী এবং তার গর্ভজাত কন্যার সাথে একই সঙ্গে যৌনসঙ্গম করা হালাল ছিল! কতো বড় অমানবিক প্রথা, ভাবা যায়?
ক্রীতদাসী (অথবা যুদ্ধবন্দিনী) এবং তার গর্ভজাত কন্যার সাথে একজনের পর আরেকজনের সাথে সহবাস করা উচিৎ নয়, উমর এই প্রথা নিষিদ্ধ করে গেছেন। (মুয়াত্তাঃ ২৮.১৪.৩৩)।
মুয়াত্তাঃ বুক নং-২৮, হাদিস নং-২৮.১৪.৩৩:
....আবদুল্লাহ ইবনে উতাবা ইবনে মাসুদ তার পিতার বরাত দিয়ে বলেন যে ওমরকে একজন ব্যক্তির কথা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যার দক্ষিন হস্তের অধিকারে ছিল একজন দাসী ও তার গর্ভজাত কন্যা, এই অবস্থায় লোকটি তাদের একজনের সাথে যৌনসঙ্গম করার পর অপর জনের সাথে করতে পারে কিনা? উমর বলেছিলেন- “উভয়ের সাথে একই সাথে (সহবাস) করা আমি অপছন্দ করি”। অতঃপর তিনি উহা নিষিদ্ধ করেন।

যদি এমন হয় যে যৌনদাসীগণ (কিংবা যুদ্ধবন্দিনীগণ) একে অপরের সহোদর বোন, তাদের সাথে একই সাথে সহবাস করা কি বৈধ? নীচের হাদিসটি পড়ুন। আপনি তাদের সাথে একই সঙ্গে সহবাস করতেও পারেন আবার নাও করতে পারেন,
যেভাবে আপনার সুবিধা হবে সেভাবেই গ্রহন করুন হাদিসটিকে। (মুয়াত্তাঃ ২৮.১৪.৩৪)।
মুয়াত্তাঃ বুক নং-২৮, হাদিস নং-২৮.১৪.৩৪:
.......ক্কাবিসা ইবনে জুওয়াইব এর সুত্রে বর্ণিত- এক ব্যক্তি ওসমান ইবনে আফফানকে জিজ্ঞেস করল যে কারও অধিকারে দুই সহোদর বোন যৌনদাসী থাকলে তাদের উভয়ের সাথে সহবাস করা বৈধ কিনা? ওসমান বলেলেন- “এক আয়াত অনুসারে এটি হালাল, আরেক আয়াত অনুসারে এটি হারাম। আমার ক্ষেত্রে হলে আমি এরূপ করতাম না”। লোকটি তার কাছে থেকে চলে গেল এবং রাসুলুল্লাহর (দঃ) আরেক সাহাবির কাছে যেয়ে প্রশ্নটি রাখল। তিনি বললেন- “যদি আমার কাছে ক্ষমতা থাকত এবং কাউকে এমন করতে দেখতাম, আমি তাকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতাম”।
ইবনে শিহাব যোগ করেন- “আমার মনে হয় লোকটি আলী ইবনে আবি তালেব”।

অসমাপ্ত

1/Post a Comment/Comments

  1. সামীউলNovember 22, 2011

    তোর মায়ের চোদ গিয়া। শালা মালাউনের পয়দা।

    ReplyDelete

Post a Comment

Previous Post Next Post