ইসলামে কাম ও কামকলা ৪১

ক্রীতদাসীর সাথে সেক্স

আলোচনার জন্যে এ এক হট টপিকস। এতক্ষন আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করলাম, তা হচ্ছে যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে ইসলামসম্মত যৌন-আচরণ। তবে হালালভাবে সেক্স করতে মুসলিম পুরুষদের সামনে এই একটিমাত্র পথ খোলা, তা কিন্তু নয়। যুদ্ধ করা আর যাই হোক মুখের কথা নয়, পৈতৃক প্রাণটা বাজী ধরতে হয়। পয়সা থাকলে হালালভাবে সেক্স করার জন্যে আরও একটি সহজ উপায় আছে মুসলমান পুরুষদের। নগদ পয়সা দিয়ে বাজার হতে মোটাতাজা দেখে একটি দাসী কিনে নেয়া। যৌনদাসী, ইংরেজী নাম সেক্স স্লেভ। যৌনদাসী ক্রয়বিক্রয় পরিপুর্ণভাবে ইসলামসম্মত, পয়সা থাকলে আপনি যতখুশী দাসী কিনতে পারেন। একসঙ্গে কতজন যৌনদাসী কিনতে পারবেন, তা নিয়ে মোটেও ভাবতে হবে না আপনাকে।

শরিয়ত আপনার জন্যে কোন লিমিট বেধে দেয়নি। যতক্ষন দেহে শক্তি আছে আর পকেটে পয়সা আছে চালিয়ে যান। এর জন্যে পরকালে আপনাকে জিনা বা ব্যভিচারের দায়ে জবাবদিহিও করতে হবে না। কেউ কেউ হয়তো যুক্তি দেখাবেন যে নারীমাংসের এই বিজিনেসটি যেহেতু আর চালু নেই, সুতরাং এ নিয়ে আলোচনা করা অনর্থক। এই যুক্তির সাথে আমিও একমত। তবে কথা হচ্ছে, কাফেরদের বিরুদ্ধে ইদানীংকালে জিহাদিরা বিশ্ব জুড়ে জিহাদের ডাক দিয়েছে। আটলান্টিকের পশ্চিম তীর থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের পুর্ব তীর পর্যন্ত সর্বত্র জিহাদি বোমায় কাফের মরছে। তাদের এই জিহাদ যদি সফল হয়, যদি জিহাদিরা পৃথিবীকে দখল করে নেয়, তবে কোরাণ-হাদিস সমর্থিত সেই রসালো প্রথাটি যে মানবসমাজে পুনঃপ্রবর্তিত হবে না, তার নিশ্চয়তা কে দেবে? কোরাণ-হাদিসে যে নিয়ম আছে তা চিরকালীন, একেবারে গ্র্যানাইট পাথরে খোদাই করা। স্বয়ং আল্লাহপাক তার প্রিয় বান্দাদের জন্যে এই নিয়ম বেধে দিয়েছেন। সেই ঐশী নিয়মের এক চুল ব্যত্যয় ঘটানো কি কোন মানবের পক্ষে সম্ভব? সম্ভব নয়। আর তাই যদি ইসলামী জিহাদিদের হাতে পৃথিবীর পতন ঘটে, তবে অমুসলিম নারীদের নধর মাংসে ভুপৃষ্ঠ পুনরায় সয়লাব হয়ে যাবে, নারীমাংস কেনাবেচার পুরোনো প্রথাটি আবার সগৌরবে ফিরে আসবে- তা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়। যদি ইসলামপন্থীরা তাদের শাসিত রাষ্ট্রে শারিয়া আইন প্রবর্তিত করে চুরির দায়ে হাত-পা কাটতে পারে, ব্যভিচারের দায়ে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে পারে, মুরতাদ ঘোষণা করে মানুষের গলা কাটতে পারে, তবে শারিয়ার বিধান মোতাবেক দাসপ্রথার পুনঃপ্রবর্তন থেকে কে তাদের নিবৃত্ত করবে? পাঠক, বিষয়টি নিয়ে ভাবুন একবার।

আমরা এর আগে বলেছি, প্রফেট মহম্মদের মারিয়া কিবতি নামক একজন যৌনদাসী ছিল। আলেকজান্দ্রিয়ার খৃষ্টান শাসক মুকাকিস এই দাসীটিকে উপঢৌকন হিসেবে তাকে দিয়েছিলেন। মহম্মদের কাছ থেকে ইসলাম গ্রহন করার বার্তা নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল যায় মুকাকিসের দরবারে। মুকাকিস ইসলাম গ্রহন করতে অস্বীকার করেন। তবে এই অস্বীকৃতির পরিনাম কী হতে পারে তা ভেবে তিনি খুব শঙ্কিত ছিলেন। সুতরাং মহম্মদকে (দঃ) তুষ্ট করতে তিনি দু’জন সুন্দরী দাসী পাঠান মদীনায়। দু’জনের মধ্যে অপেক্ষাকৃত সুন্দরী দাসীটিকে (মারিয়া) মহম্মদ নিজের ব্যবহারের জন্যে রাখেন, অপর দাসী শিরিনকে তিনি কবি বন্ধু হাসান ছাবিতকে উপহার দেন। মারিয়ার গর্ভে মহম্মদের এক পুত্র জন্মে যার নাম ছিল ইবরাহিম। শিশু বয়েসেই মারা যায় ইব্রাহীম। শিরিনের গর্ভে হাসান ছাবিতের যে পুত্রসন্তান হয় তার নাম ছিল আব্দুর রহমান। (রেফারেন্স-১০, পৃ-৪৯৮-৪৯৯)। এই সমস্ত ঐতিহাসিক রেকর্ড থেকে প্রমানিত হয় যে যৌনদাসী ভোগ করা পুরোপুরিভাবে হালাল এবং ইসলামসম্মত।

অসমাপ্ত

10/Post a Comment/Comments

  1. সাব্বিরSeptember 09, 2010

    সত্যি তাই। এ কথা আমি বিশ্বাস করি যে ইসলাম পৃথিবীর জন্য একটি ভাইরাস ছাড়া আর কিছুই নয়। এ কথা আমি যেদিন বুঝেছি, সেদিনই মনে মনে ইসলামকে ঘৃণা করা শুরু করেছি। কথা দিচ্ছি- ব্লগটিতে এখন থেকে নিয়মিত আসব।

    ReplyDelete
  2. আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারায় বলেছেন, ‘হাতামাল্লাহু আলা কুলুবিহিম, ওয়ালা সাময়িহিম ওআলা আবছারিহিম...... অর্থাৎ-
    আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
    আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।
    তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।
    তাদের অন্তঃকরণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
    আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।
    মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।
    নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।”
    উক্ত কোরআনের আয়াত থেকে বুঝতেই পারছেন যারা পথভ্রষ্ট তারা ইসলামের পথে আসবেনা। আপনি এবং agnisetu একই পথের পথিক।
    মমতাজ উদ্দিন আহমদ
    আলীকদম, বান্দরবান।
    momtaj_apc@yahoo.com

    ReplyDelete
  3. puruser sexual hunger beshi,tai bole apni amon katha kano bolen?1ta dusta lok ese jodi apnar relative ka nia jai then what will you do?tokhon ki das protha apni chalu korben na?

    ReplyDelete
  4. sex is a human right. it should be respected. just think is there any solution which can respect this right as appropriately as described above?
    PARK a bose r dos ta cheleka nosto korar thek a ghor a gia sex kora onek valo..........support it.

    what is the problem with it, let me clarify.....
    apnara PROTHOM ALO ER sathe jouno kormider right nia kotha bolte paren, kintu ISLAM eder nia kotha bollei apnader ga jole.........lolz.

    ReplyDelete
  5. apne ke bujata chan---taka dea mager sathe sex kora jayej???jodi ta e hoy quran-hadeser reparence den

    ReplyDelete
  6. সামীউলNovember 22, 2011

    শুওরের বাচ্চা শালা মালাউন। ইসলাম সম্পর্কে মিথ্যা কথা কস। তোর উপর গজব পড়বে।

    ReplyDelete
  7. writer ki hindu naki muslim? mone ja casse ajgubi quran hadis er refference diye likhe disse.....eta to yellow journalism against a religion...so low and poor...

    ReplyDelete
  8. জনাব লেখক,ইসলাম সম্বন্ধে আপনার জ্ঞান দেখে শিউরে উঠছি। এসব জ্ঞান আর প্রসার করবেন না দয়া করে। ইসলামের প্রতিষ্টিত সকল নিয়ম প্রথম থেকেই আরোপিত হয়নি। যেমন মদ খাওয়া আমার জানামতে হিজরতেরও অনেক পরে নিষিদ্ধ হয়েছে। তাই মদ নিষিদ্ধ হওয়ার আগে অনেক সাহাবী তা খেতেই পারেন। নবী(স:) হয়ত তখন তা দেখেও না করেন নি। এখন কেউ যদি বলে যে কোন সাহাবী মদ খেয়েছেন এবং নবী(স:) তা দেখেও না করেননি তবে তার কথা সত্ত্যি হতে পারে। তবে অনুসন্ধান করলে দেখবেন যে তা অবশ্যই মদ নিষিদ্ধ হওয়ার আগের ঘটনা। তাই কোন বিষয়ে লিখা বা মন্তব্য করার আগে অবশ্যই আমাদের তার পিছনের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। আপনার বর্ননাকৃত বিষয় সত্য হতে পারে তবে তা এই সংক্রান্ত চুড়ান্ত ইসলামিক নিয়ম নয়। আমার জানামতে কিছু যুদ্ধে সাহাবীরা নারী সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু পরে ইসলামে তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তারা তখন অবশ্যই নারীদের প্রতি সম্মানজনক আচরন করেছেন। ইসলাম আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগের কবল থেকে নারীদের মুক্ত করে তাদেরকে সম্মানজনক আসনে বসিয়েছে। আপনার লেখা পড়লে অনেকে বিভ্রান্ত হবেন অথবা ভূল পথে পরিচালিত হবেন। তাই দয়া করে এই সব সেনসেটিভ বিষয়ে ভালো করে জেনেশুনে তারপর লিখালিখি করবেন। আল্লাহ আপনার প্রতি রহম হোন।

    ReplyDelete
  9. আপনি যদি ইসলামের ইতিহাস পড়েন তাহলে দেখবেন যে কোন যুদ্ধে শ্ত্রু বাহিনীর মহিলাদের সাথে মুসলমানরা কেমন সম্মানজনক আচরণ করে ছিল ,এই কারনেও ত দলে দলে মানুষ ইসলামে প্রবেশ করেছিল ।একটা কথা মনে রাখবেন most of the people ইসলামে এসেছিল ইসলামের মহাত্ত্য দেখে ,তরবারীর জোড়ে নয়।আর ধর্মে জোর জবরদস্তি ইসলামেও নিষেধ ।

    ReplyDelete
  10. আনোয়ারNovember 10, 2012

    পড়ুন এম এ খানের বিখ্যাত বই 'জিহাদ' আর জেনে নিন ইসলামের আসল রূপ।

    ReplyDelete

Post a Comment

Previous Post Next Post