ইসলামে কাম ও কামকলা- ২১

এই উন্মাতাল সেক্সের পক্ষে স্বর্গীয় অনুমতি ছিল; ইমাম গাজ্জালির লেখা হতে তার প্রমাণ মেলে। একাধিক পার্টনারের সাথে সেক্সের নিয়মকানুন সম্পর্কে তিনি লিখেছেন (রেফারেন্স-৭, পৃ-৩৬৮):-গারিব হাদিসে বর্ণিত আছে যে আল্লাহর রাসুল বলেছেন- “আমি জিব্রাইলের কাছে অভিযোগ করেছিলাম যে স্ত্রীদের সাথে সঙ্গমের জন্যে আমি আরও অধিক পরিমান (যৌন) শক্তি লাভ করার ইচ্ছে করি, এবং তিনি (জিবরাইল) আমাকে হারিসা খাওয়ার জন্যে উপদেশ দেন”।

একটি অসাধারণ হাদিস কোট করে বর্তমান প্রসঙ্গের ইতি টানব আমি। অনুমান করুন, একটিমাত্র রাত্রিতে কী পরিমান বীজ প্রবাহিত হওয়ার প্রয়োজন হতো !

সহি বুখারিঃ ভলিউম-৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-৬: আনাছ হতে বর্ণিতঃ
নবী পর্যায়ক্রমে সকল স্ত্রীর ঘরে যেতেন এবং একই রাত্রিতে তাদের সকলের সাথে (সহবাস) করতেন। এবং তার স্ত্রীর সংখ্যা ছিল নয় জন। স্ত্রীলোকের বীর্যের রং হলুদ ! যৌবনকালে অধিকাংশ মেয়েপুরুষই যৌনসম্পর্কিত স্বপ্ন দেখে।

ছেলেদের বীর্যপাত হয় (স্বাভাবিক সঙ্গমকালে যেরূপ বীর্যপাত হয় ঠিক তদ্রুপ), বাংলা ভাষায় এর নাম স্বপ্নদোষ (Nocturnal emission)। মেয়েরাও যৌন বিষয়ক স্বপ্ন দেখতে পারে এবং চরম পুলক (অর্গাজম) হতে পারে, তবে পুরুষের মতো তাদের কোন স্খলন হয় না, কারণ যোনিদেশে সিমেন বা বীর্য উৎপন্ন হয় না। নবীর প্রিয় স্ত্রী আয়েশাও বিষয়টি জানতেন, কারণ তিনি ছিলেন একজন নারী। তবে মহম্মদ (দঃ) এই বৈজ্ঞানিক সত্য সম্পর্কে সম্পুর্ণ অজ্ঞ ছিলেন এবং মনে করেছিলেন যে পুরুষদের মতো মেয়েদেরও বোধ হয় বীর্যপাত ঘটে। তিনি সম্ভবত কোন স্ত্রীলোকের কাপড়ে হলুদ দাগ দেখে থাকবেন যা সাধারনত ঋতুস্রাবের পরে ঘটে। তা দেখেই তিনি মনে করেছিলেন যে এটিই স্ত্রীলোকের স্পার্ম বা বীর্যের দাগ। যখন আয়েশা তার ভুল শুধরে দিতে চাইলেন, তিনি তাকে ধমক মেরে চুপ করিয়ে দিয়ে নিজের ভ্রান্ত ধারণা তার উপর চাপিয়ে দিলেন। যদি কোন স্ত্রীলোক নীচের হাদিসগুলি পড়েন, তিনি যেন আবার যেন ভেবে না বসেন যে তার স্ত্রী অঙ্গটিতে কোন রোগ বাসা বেধেছে।

সহি মুসলিমঃ বুক নং-৩, হাদিস নং-০৬০৮:
আনাছ বিন মালিক বর্ণনা করেছেন যে - উম সুলাইম (সুলাইমের মা) বলেছিলেন যে তিনি একবার রাসুলুল্লাহর (দঃ) কাছে একজন মেয়ে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে পুরুষদের মতোই স্বপ্ন দেখত (যৌনস্বপ্ন)। আল্লাহর রাসুল (দঃ) বললেন-যদি কোন মেয়ে এরূপ দেখে, তাকে অবশ্যই গোসল করতে হবে। উম সালমা বলেন- আমি এ বিষয়ে (কথা বলতে) খুবই লজ্জা পাচ্ছিলাম এবং বললাম- ইহা কি ঘটে? তখন রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন- হ্যা (ইহা ঘটে)। নইলে একটি শিশু কীভাবে তার মা’র মতো হয়? পুরুষের স্খলন (বীর্য) ঘন ও শাদা, স্ত্রীলোকের স্খলন পাতলা এবং হলুদ। সুতরাং দু’জনের মধ্যে যার জিন বেশী প্রবল হবে, বাচ্চা তার মতো হবে।

সহি মুসলিমঃ বুক নং-৩, হাদিস নং-০৬১০:
উম্মে ছালামা বর্ণনা করেছেনঃ
উম্ সুলাইম রাসুলুল্লাহর (দঃ) কাছে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন- হে রাসুলুল্লাহ (দঃ)। আল্লাহ সত্য হতে লজ্জিত নন। একজন মেয়ে যদি যৌনবিষয়ক স্বপ্ন দেখে, তার কি গোসল করার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন-হা, যদি তার পানি বের হয়। উম্মে ছালামা বললেন- রাসুলুল্লাহ, মেয়েরা কি যৌনবিষয়ক স্বপ্ন দেখে? তিনি বললেন-তোমার হাত ধূলিধুসরিত হোক। তার শিশু তবে কীভাবে তার মতো হয়?

অসমাপ্ত

2/Post a Comment/Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post