ইসলামে সেক্স শব্দটির অর্থ হলো নারীদেহ ভোগ। সেক্স যে নর এবং নারী- এই উভয় প্রজাতির জন্যেই চরম আনন্দদায়ক একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে- সে ধারণা ইসলামী কামশাস্ত্রে অনুপস্থিত। ইসলামী প্রথামতে পুরুষটিই এই খেলার একমেবাদ্বিতীয়ম খেলোয়ার। খেলাটি কীভাবে চলবে তা স্থির করবে পুরুষটি, নারীর কোন ভুমিকা সেখানে নেই। ইসলামী রতিক্রিয়ায় নারীর সক্রিয় অংশগ্রহনের নিয়ম নেই। সে পুরুষের রতিখেলার একজন নিস্ক্রিয় সহযাত্রী মাত্র; পুরুষটিকে যৌনতৃপ্তি দেয়ার মামুলি যন্ত্র বিশেষ। ইসলামী আইনসমুহের ভিত্তি বলে পরিচিত কোরাণ এবং হাদিসশাস্ত্র নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করার পর আমার অন্ততপক্ষে তাই মনে হয়েছে। ইসলামী অনু শাসন অনুযায়ী দৈহিক/জৈবিক আনন্দলাভের এই প্রক্রিয়া আর দশটা বানিজ্যিক অথবা ব্যবসায়িক লেনেদেন-প্রক্রিয়ার মতোই। একজন প্রাপ্তবয়স্কা নারীরও নিজের পছন্দানুযায়ী বর নির্বাচনের অধিকার নাই ইসলামে, বর নির্বাচনে তাকে অভিভাবকের পছন্দের উপর নির্ভর করতেই হবে। বিবাহ কিংবা যৌনসম্পর্কিত যে কোন কর্মকান্ডে নারীর অস্তিত্ব শুধুমাত্র একটি যৌনতৃপ্তি-প্রদায়ী বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। নারী একটি সেবা প্রদানকারী মেশিন (সার্ভিস প্রভাইডিং অবজেক্ট); সেবার বিনিমিয়ে সে কিছু অর্থমুল্য পাবে। ইসলামী পরিভাষায় এই বিনিময় মুল্যের নাম দেনমোহর, সংক্ষেপে মোহরানা। বিয়ের পুর্বে একজন মুসলমান পুরুষকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদানে স্বীকৃতি জ্ঞাপন করতে হবে। এই অর্থ সে তাৎক্ষনিকভাবেও পরিশোধ করতে পারে, কিংবা পরবর্তীতে পরিশোধ করবে- এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাকীতেও সার্ভিস ক্রয় করতে পারে। মোহরানা প্রদানের চুক্তি ছাড়া কোন বিয়েই ইসলামী আইনানুযায়ী বৈধ নয়। দেনমোহর আসলে যৌনসম্ভোগের জন্যে একটি নারীদেহের অধিকার লাভ করার বিনিময় মুল্য ছাড়া আর কিছু নয়। মোহরানার এই সংজ্ঞা আপনার কাছে অমার্জিত বলে মনে হতে পারে; তবে শারিয়া সম্পর্কিত যে কোন আইন বই ঘাটলেই আমার বক্তব্যের যথার্থতার প্রমাণ পেয়ে যাবেন আপনি। মনে রাখবেন- শারিয়া আইন মুসলিম সমাজে অবশ্য প্রতিপাল্য-; স্বয়ং আল্লাহপাক নিজ হাতে মুসলমানদের জন্যে এই আইন তৈরী করে দিয়েছেন। অত্র প্রবন্ধের পরিশিষ্টে উল্লেখিত ৮নং রেফারেন্সটি ইসলামী সমাজে অত্যন্ত প্রামাণ্য শরিয়া গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। আপনার তাৎক্ষনিক বিবেচনার জন্যে আমি সেখান থেকে একটিমাত্র রেফরেন্স উল্লেখ করছি এখন (রেফারেন্স-৮, পৃষ্ঠা-৫২৬)।
স্ত্রীদেহের একচ্ছত্র মালিকানা পুরুষের, স্ত্রীদেহকে সে যেভাবে ইচ্ছে ভোগ করতে পারে, প্রয়োজন পড়লে প্রহারও করতে পারেঃ স্বামীর অধিকারঃ- স্ত্রীর শরীর (মাথা হতে পায়ের পাতা পর্য্যন্ত) ইচ্ছেমতো ভোগ করার পুর্ণ অধিকার রয়েছে স্বামীর, তবে কথা থাকে যে এরূপ ভোগপ্রক্রিয়ায় স্ত্রী যেন শারিরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। স্ত্রীর পায়ুপথ দিয়ে সঙ্গম করা সম্পুর্ণভাবে হারাম। ভ্রমনকালে স্বামী ইচ্ছে করলে স্ত্রীকে সাথে বহন করতে পারে। এবার আমরা ইসলামী আইনের (ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স) উপর আরেকটি প্রামাণ্য গ্রন্থের কিছু অংশ আলোচনা করব।
(চলবে)
Post a Comment