ইসলামে কাম ও কামকলা ৩৭

এখানে একটি প্রশ্ন এসে যায়। জিহাদিদের উন্মত্ত ধর্ষণপ্রক্রিয়ার ফলে যদি বন্দিনীটির গর্ভসঞ্চার হয় তাহলে কী হবে? অনেক জিহাদিই চাইত না যে তাদের সেক্স-মেশিনটি তাড়াতাড়ি গর্ভসঞ্চার করে বসুক, সুতরাং তারা বীর্যপাতের ঠিক পুর্বমুহুর্তে লিঙ্গটি বের করে নিয়ে আসত। এই প্রথা সম্পর্কে মহম্মদের (দঃ) মনোভাব ছিল ঘোলাটে, কখনও তাকে এই প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়, কখনও বা তাকে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়। এসম্পর্কে গোটাকয়েক সুন্দর হাদিস উল্লেখ করা হলো। (কয়টাস ইন্টারাপশন বা যোনির বাইরে বীর্যপাত সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাবে এই সিরিজের ৩ নং কলিতে)।

বানু আল-মুস্তালিক গোত্রের বন্দিনীদের ক্ষেত্রে কয়টাস ইন্টারাপশন পালন করতে মহম্মদ অনুমতি দেননি, তবে বন্দিনীদের ধর্ষণ করার ক্ষেত্রে তার কোন নিষেধ ছিল না (৫:৫৯:৪৫৯)।
সহি বুখারিঃ ভলিউম-৫, বুক নং-৫৯, হাদিস নং-৪৫৯:

ইবনে মুহাইরিজ হতে বর্ণিতঃ আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম এবং আবু সাইদ আল-খুদরিকে দেখতে পেলাম। আমি তার পাশে উপবেশন করে তার কাছে আজল (কয়টাস ইন্টারাপশন) সম্পর্কে জানতে চাইলাম। আবু সাইদ বলল- “আমরা রাসুলুল্লাহর সাথে বানু মুস্তালিকদের বিরুদ্ধে এক অভিযানে যাই। কিছু আরব বন্দিনী আমাদের হস্তগত হয়। আমরা প্রবলভাবে নারীসঙ্গ কামনা করছিলাম; নারীসঙ্গবিবর্জিত জীবন আমাদের জন্যে কঠিন হয়ে পড়েছিল এবং আমরা আজল করতে চাইলাম। আমরা বললাম- আল্লাহর রাসুল আমাদের মাঝে হাজির থাকতে তার কাছে জিজ্ঞেস না করে কী করে একাজ করি? আমরা এ সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- এটা না করাই বরং তোমাদের জন্যে ভাল। কারণ কোন আত্মা জন্ম নেওয়ার হলে তা জন্মাবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত ”।

অসমাপ্ত

1/Post a Comment/Comments

  1. every thing is intended here only to misguide people of nonmuslim world regarding Islam.

    ReplyDelete

Post a Comment

Previous Post Next Post