সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১২, হাদিস নং-২৩০২:
উম্মুল মোমেনিন আয়েশা হতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুলকে (দঃ) একজন লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়, যে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে, অতঃপর মেয়েটি অপর একজনকে বিয়ে করলো, কিন্তু সে মেয়েটির সাথে যৌনসঙ্গম না করেই তাকে তালাক দিল। এখন পুর্বস্বামীকতৃক মেয়েটিকে বিয়ে করা বৈধ হবে কিনা। তিনি (আয়েশা) বলেন- নবী (দঃ) উত্তরে বলেছিলেন- যে পর্যন্ত মেয়েটি অপর স্বামীর মধুআস্বাদন না করে এবং অপর স্বামী মেয়েটির মধু আস্বাদন না করে, সে পর্যন্ত সে পুর্বস্বামীর জন্যে বৈধ নয়। সহি মুসলিমঃ বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩৩৫৪:
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিতঃ
আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন- একবার রিফায়া’র স্ত্রী আল্লাহর রাসুলের (দঃ) কাছে এসে বলল- আমার রিফায়া’র সাথে বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু সে আমাকে অফেরতযোগ্য তালাক (তালাকে বাইন) প্রদান করে। অতঃপর আমি আব্দুর রহমান বিন আল-জুবেইরকে বিয়ে করি, কিন্তু তার কাছে যা আছে তা পোশাকের উপর চকচকে নকশা ছাড়া আর কিছু নয় (অর্থাৎ যৌনকর্মে অসমর্থ)। এ কথা শুনার পর আল্লাহর রাসুল (দঃ) একটু হেসে বললেন- তুমি কি আবার রিফায়া’র কাছে ফিরে যেতে চাও। তবে যে পর্যন্ত তুমি তার মিষ্টত্ব এবং সে (আব্দুর রহমান) তোমার মিষ্টত্ব আস্বাদন না করেছে, সে পর্যন্ত তুমি (করতে) তা পার না। সেই সময় আবু বকর তার (নবীর) কাছে ছিলেন এবং দরজায় ছিলেন খালিদ (বিন সাআদ) ভেতরে ঢোকার অনুমতি প্রাপ্তির অপেক্ষায়। তিনি (খালিদ) বললেন- আবু বকর, মেয়েলোকটি নবীর সামনে উচ্চস্বরে কীসব বলছিল তা কি তুমি শুনেছ?
সহি মুসলিমঃ বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩৩৫৭:
আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে রাসুলুল্লাহকে (দঃ) একজন স্ত্রীলোকের বিষয় জিজ্ঞেস করা হয় এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। অতঃপর লোকটি তাকে তালাক দেয় এবং সে (স্ত্রীলোকটি) অপর এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে, যে তার সাথে যৌনসঙ্গম না করেই পুনরায় তাকে তালাক দেয়। এই অবস্থায় প্রথম স্বামীর সাথে (বিবাহ বন্ধনে) আবদ্ধ হওয়া কি তার জন্যে বৈধ। তিনি (নবী) বললেন- না, যে পর্যন্তসে (দ্বিতীয় স্বামী) মেয়েটির মিষ্টত্ব আস্বাদন না করে।
মালিক মোয়াত্তাঃ বুক নং-২৮, নাম্বার-২৮.৭.১১৭:
.....নবীর জীবিতাবস্থায় রিফআ’ ইবনে শিমওয়াল তার স্ত্রী তামিমা বিনতে ওয়াহাবকে তিন তালাক দেয়। সে তখন আব্দুর রহমান ইবনে আজ-জুবায়েরকে বিয়ে করে। এবং সে (আব্দুর রহমান) বিয়ে পুর্ণাঙ্গ না করেই তাকে পরিত্যাগ করে।
রিফাআ তাকে (তামিমাকে) আবার বিয়ে করতে চাইলে বিষয়টি নবীর (দঃ) কাছে উত্থাপিত হয়। তিনি (নবী) তাকে বিয়ে করতে নিষেধ করেন এবং বলেন- “যে পর্যন্ত সে (তামিমা) যৌনসঙ্গমের মিষ্টত্ব আস্বাদন না করে, সে পর্যন্ত সে তোমার জন্যে হালাল নয়”।
অসমাপ্ত
Post a Comment